আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচার প্রক্রিয়া সহজ করে মামলাজট কমাতে ১৯০৮ সালের দেওয়ানি কার্যবিধি সংশোধনে কাজ করছে আইন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সব নাগরিকের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সারা দেশে লিগ্যাল এইড অফিস প্রতিষ্ঠা, সরকারি খরচে আইনি সহায়তা কার্যক্রম চালু, বিচার প্রক্রিয়ায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি প্রবর্তনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ডেভেলপমেন্ট অব মেডিয়েশন অ্যান্ড সিভিল লিটিগেশন প্র্যাকটিসেস ফর এনহেন্সমেন্ট অব এক্সেস টু জাস্টিস’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরি, প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) উম্মে কুলসুম, প্রকল্পের চিফ অ্যাডভাইজার ফুজিওকা টাকুরো প্রমুখ।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, লিগ্যাল এইড অফিসাররা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ১৮০ কোটি ৪৫ লাখ ২৭ হাজার ৪২৫ টাকা আদায় করেছেন। যার সুবিধা পেয়েছে ২ লাখ ১২ হাজার ৩৫৯ জন মানুষ। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতিকে আরও সফল ও কার্যকর করতে বিভিন্ন আইন সংশোধন করা হয়েছে। উন্নত মেডিয়েশন চর্চার জন্য জাইকার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশে ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধিতে এ প্রকল্প একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে। পাইলট জেলা হিসেবে নরসিংদী ও কুমিল্লায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। যেখানে মধ্যস্থতাকারী এবং লিগ্যাল এইড অফিসারদের প্রশিক্ষণ ও কার্যকর কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হবে।