নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নে ‘শাহাজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাস ক্ষেত্র’র ৩নং কূপে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। গত নভেম্বরে শুরু খননকাজ শেষ হয়ে এখন চলছে ড্রিল স্টেম টেস্ট (ডিএসটি)।
প্রাথমিকভাবে কূপটির ৩টি জোনে গ্যাসের অস্তিত্ব মিলেছে। ডিএসটি শেষে মজুত গ্যাসের পরিমাণ জানা যাবে। শনিবার দুপুরে কূপটির সর্বনিম্ন স্তরের (লোয়ার জোন) ডিএসটি শুরু করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)-এর প্রকল্প পরিচালক প্রিন্স মো. আল হেলাল বলেন, আমাদের খননকাজ শেষ হয়েছে।
পরীক্ষামূলক ডিএসটি শুরু করেছি। এখন চলছে লোয়ার জোনের টেস্ট। কূপটি মোট ৩ হাজার ৩৮৫ মিটার গভীর করা হয়েছে, যার মধ্যে লোয়ার জোন ৩ হাজার ৪১ থেকে ৩ হাজার ৪৬ মিটার পর্যন্ত। এখন ৩ হাজার ৫৭ মিটার থেকে ৩ হাজার ৬৪ মিটার পর্যন্ত টেস্টিং চলছে। অপর দুটি জোনের টেস্ট চালু করা হবে। ডিএসটির পরেই গ্যাসের মোট মজুদ জানা যাবে।
বাপেক্সের চরকাঁকড়া ৩ নম্বর কূপের ড্রিলিং ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের টার্গেট ছিল এখান থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করার। তবে লোয়ার জোনে গ্যাসের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, আরও ভালো গ্যাস আশা করতে পারি। বাকি দুটি জোনের টেস্ট শেষে মোট মজুত সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারব।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি নোয়াখালীর শাহাজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রটির ১ নং কূপ উৎপাদনের যাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন।