সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে রাশিয়া থেকে তিন লাখ টন গম আমদানি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে আরও ৫০ হাজার টন গম আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ দুটিসহ মোট ১৮টি ক্রয়প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, রাশিয়া থেকে ৯৫০ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩ লাখ টন গম আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রতি টনের দাম পড়ছে ২৮৮ ডলার। আগে এ দাম ছিল ৩০৩ ডলার ১৯ সেন্ট।
সচিব আরও জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে দুবাইয়ের গ্রেইন ফ্লাওয়ারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন গম কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। প্রতি টনের দাম পড়েছে ২৭৯ ডলার ৯৫ সেন্ট। আগে দাম ছিল ৩০৩ ডলার। দাম অনেক কমেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় মোট খরচ হচ্ছে ১৫৩ কোটি ৯৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
সভায় খুলনা, মৌলভীবাজার ও রাজবাড়ীতে ১০০ মেগাওয়াট করে মোট ৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়। এ প্রসঙ্গে মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, খুলনা জেলার রূপসা উপজেলায়, মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় এবং রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় এসব সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করবে দেশি-বিদেশি কোম্পানির কনসোর্টিয়াম। ২০ বছর মেয়াদি প্রকল্পগুলো ‘নো ইলেকট্রিসিটি নো পে’ বা বিদ্যুৎ না পেলে টাকা নয়’ ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। এসব কেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ সরকার কিনবে দশমিক ০৯৮৮ ডলারে। স্থানীয় মুদ্রায় প্রতি ইউনিটের দাম পড়বে ১০ টাকা ৯২ পয়সা।
বৈঠকে আন্তর্জাতিক খোলা বাজার বা স্পট মার্কেট থেকে চার কার্গো এলএনজি কেনার পৃথক চারটি প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার কিনতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। প্রতি টনের দাম পড়েছে ৫৮১ ডলার; আগের মূল্য ছিল ৫৭৬ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় মোট ক্রয়মূল্য ২৫০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
রাশিয়া থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ৩০ হাজার টন এমওপি সার কেনার একটি প্রস্তাবও পাস হয়েছে। প্রতি টনের দাম পড়ছে ২৮৯ ডলার ৭৫ সেন্ট।