Dhaka 11:57 pm, Sunday, 22 December 2024

রাজশাহী নগরীতে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে পুকুর ভরাট

রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন দায়রাপাকের মোড় মেহেরেচন্ডি এলাকায় রাস্তার পাশেই অবৈধভাবে একটি পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। প্রায় সাড়ে ৪ বিঘা আয়তনের পুকুরটি ভরাট করতে গত সোমবার ২৫ মার্চ রাত থেকেই কাজ শুরু করেন শ্রমিকরা। আইন অনুযায়ী রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় পুকুর-জলাশয় ভরাট নিষিদ্ধ; তার পরও আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে অবৈধ এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। অজ্ঞাত কারণে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে।

এদিকে পুকুর ভরাটের দায়ীত্বে থাকা নগরীর মতিহার থানাধীন মোহনপুর এলাকার ছানা ও লালন বলেন, ২০২০ সালে ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা মুল্যে সাড়ে ৪ বিঘা আয়তনের পুকুরটি ক্রয় করেছেন সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ১১ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। তবে মালিকানায় কারা রয়েছেন এব্যাপারে মুখ খুলছেন না তারা। শুধু জানিয়েছেন একজন রানিং জেলা প্রশাসক অর্থাৎ (ডিসি) মালিকানায় রয়েছেন। কিন্তু কোন জেলার ডিসি তাও বলছেন না ভরাটের দায়ীত্বে থাকা ছানা ও লালন।

আইন অমান্য করে কেন পুকুর ভরাট করা হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ছানা বলেন, পুকুরের শ্রেনী পরিবর্তণ করা হয়েছে। এছাড়া এখানে অনেকগুলো মালিক রয়েছেন। তাদের সাতে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি। এরপর আর কোনো কথা না বলেই তিনি দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। পরে খবর পেয়ে ওই দিন চন্দ্রিমা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর ভরাট কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুকুর ভরাটের দাযীত্বে থাকা ছানা ও লালন গত সোমবার রাত থেকেই সেটি ভরাটের লক্ষ্যে শ্রমিকদের দিয়ে কাজ শুরু করেন। এক দিকে স্যাল মেশিন দিয়ে পুকুরের পানি নিষ্কাশনের কাজ চলছে। আরেক দিকে ড্রাম ট্রাকে করে বালু নিয়ে এসে পুকুর পারে রাস্তার ওপর ফেলা হচ্ছে। অন্য দিকে হুইল লোডার মেশিন দিয়ে রাস্তার ওপর পড়ে থাকা বালুগুলো নামিয়ে দেয়া হচ্ছে সেই পুকুরে। রাতে পুকুরটির কিছু অংশ ভরাট হয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়।
পুকুরটি মাছ চাষের জন্য পুর্বের মালিক গোলাম মওলা ও তার শরিকদের কাছ থেকে লিজ নিয়েছেন মেহেরচন্ডী এলাকার সোহেল রানা। তিনি জানান, গত ৬ বছর থেকে পুকুরটিতে তিনি মাছ চাষ করেন
তাকে না জানিয়ে গোপনে বিক্রি করেছেন পুকুর মালিকরা।
প্রতি বছর ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা আমার খরচ হয়। রাতের আধারে এভাবে পুকুর ভরাট হলে আমি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ব।
তিনি আরও বলেন, এর আগে আব্দুল হালিম নামের এক ব্যক্তি পুকুর পারে একটি ব্যানার দিয়ে ছিলেন। তবে কে বা কাহার ব্যানারটি তুলে ফেলে। কাগজ কলমে পুকুরের আয়তন সাড়ে ৪ বিঘা, সরেজমিনে তা হয়ে আছে সাড়ে ৮ বিঘা। গোলাম মওলা ছাড়াও অন্যান্য মালিকদের বাৎসরিক খাজনা দিতে সোহেল রানাকে।

রাজশাহী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. কবির হোসেন বলেন, এর আগে মেহেচন্ডি এলাকায় ওই পুকুর ভরাটের অভিযোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করা হয়। আইন অনুযায়ী পৌর অথবা সিটি করপোরেশন এলাকার ভেতরে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া জলাধারের আকার পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু তার পরও রাজশাহীতে অব্যাহতভাবে চলছে পুকুর-জলাধার ভরাট। এতে চরমভাবাপন্ন ও বিরূপ আবহাওয়ার শিকার হচ্ছেন মানুষ। যে ক’টি জলাশয় রয়েছে সেগুলো সংরক্ষণ করা না গেলে ভবিষ্যতে কোনো স্থানে আগুন নেভানোর পানি পাওয়াও দুষ্কর হয়ে পড়বে বলে মনে করেন তিনি।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) সূত্র জানায়, নগরীতে ১২০টি পুকুরের মধ্যে কর্তৃপক্ষ মাত্র ২২টি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি দুই একরের বেশি আয়তনের ২২টি পুকুর সরকারিভাবে সংরক্ষণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন অন্য পুকুরগুলোর বিষয়ে রাসিকের কোনো বক্তব্য নেই।
নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হোসেন আলী পিয়ারা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, এর আগে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) একটি প্রচারপত্র বিলি করেছিল। ওই প্রচারপত্রে বলা হয়, নগরীতে কেউ পুকুর ভরাট করতে চাইলে অনুমতি নিতে হবে। এমনকি কেউ অবৈধভাবে পুকুর ভরাটের বিষয়ে টেলিফোনে অভিযোগ করলেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র এর বিপরীত। আরডিএ কর্তৃপক্ষকে সরাসরি জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগরীর সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন, সিটি করপোরেশনের আওতাধীন যেসব এলাকায় পুকুর-জলাশয় ভরাট হচ্ছে সেসব এলাকার কাউন্সিলর, সরকার দলীয় স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ম্যানেজ করে অবৈধভাবে এ পুকুর-জলাশয় ভরাট কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে রাসিকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এ ব্যাপারে আরডিএ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন। তারা পদক্ষেপ নেবে। এ ছাড়া রাসিক কর্তৃপক্ষও ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।
তবে এ ব্যাপারে জানার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও আরডিএ’র সহকারী নগর পরিকল্পক মো. সাদরুল আনাম ফোন না ধরায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিষয়গুলি দেখেন এসি ল্যান্ড ও ইউএনও মহদয়। তাদের কোন লিখিত নির্দেশনা পেলে পরবর্তী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

রাজশাহী নগরীতে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে পুকুর ভরাট

আপলোড সময় : 11:00:53 pm, Friday, 29 March 2024

রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন দায়রাপাকের মোড় মেহেরেচন্ডি এলাকায় রাস্তার পাশেই অবৈধভাবে একটি পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। প্রায় সাড়ে ৪ বিঘা আয়তনের পুকুরটি ভরাট করতে গত সোমবার ২৫ মার্চ রাত থেকেই কাজ শুরু করেন শ্রমিকরা। আইন অনুযায়ী রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় পুকুর-জলাশয় ভরাট নিষিদ্ধ; তার পরও আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে অবৈধ এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। অজ্ঞাত কারণে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে।

এদিকে পুকুর ভরাটের দায়ীত্বে থাকা নগরীর মতিহার থানাধীন মোহনপুর এলাকার ছানা ও লালন বলেন, ২০২০ সালে ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা মুল্যে সাড়ে ৪ বিঘা আয়তনের পুকুরটি ক্রয় করেছেন সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ১১ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। তবে মালিকানায় কারা রয়েছেন এব্যাপারে মুখ খুলছেন না তারা। শুধু জানিয়েছেন একজন রানিং জেলা প্রশাসক অর্থাৎ (ডিসি) মালিকানায় রয়েছেন। কিন্তু কোন জেলার ডিসি তাও বলছেন না ভরাটের দায়ীত্বে থাকা ছানা ও লালন।

আইন অমান্য করে কেন পুকুর ভরাট করা হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ছানা বলেন, পুকুরের শ্রেনী পরিবর্তণ করা হয়েছে। এছাড়া এখানে অনেকগুলো মালিক রয়েছেন। তাদের সাতে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি। এরপর আর কোনো কথা না বলেই তিনি দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। পরে খবর পেয়ে ওই দিন চন্দ্রিমা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর ভরাট কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুকুর ভরাটের দাযীত্বে থাকা ছানা ও লালন গত সোমবার রাত থেকেই সেটি ভরাটের লক্ষ্যে শ্রমিকদের দিয়ে কাজ শুরু করেন। এক দিকে স্যাল মেশিন দিয়ে পুকুরের পানি নিষ্কাশনের কাজ চলছে। আরেক দিকে ড্রাম ট্রাকে করে বালু নিয়ে এসে পুকুর পারে রাস্তার ওপর ফেলা হচ্ছে। অন্য দিকে হুইল লোডার মেশিন দিয়ে রাস্তার ওপর পড়ে থাকা বালুগুলো নামিয়ে দেয়া হচ্ছে সেই পুকুরে। রাতে পুকুরটির কিছু অংশ ভরাট হয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়।
পুকুরটি মাছ চাষের জন্য পুর্বের মালিক গোলাম মওলা ও তার শরিকদের কাছ থেকে লিজ নিয়েছেন মেহেরচন্ডী এলাকার সোহেল রানা। তিনি জানান, গত ৬ বছর থেকে পুকুরটিতে তিনি মাছ চাষ করেন
তাকে না জানিয়ে গোপনে বিক্রি করেছেন পুকুর মালিকরা।
প্রতি বছর ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা আমার খরচ হয়। রাতের আধারে এভাবে পুকুর ভরাট হলে আমি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ব।
তিনি আরও বলেন, এর আগে আব্দুল হালিম নামের এক ব্যক্তি পুকুর পারে একটি ব্যানার দিয়ে ছিলেন। তবে কে বা কাহার ব্যানারটি তুলে ফেলে। কাগজ কলমে পুকুরের আয়তন সাড়ে ৪ বিঘা, সরেজমিনে তা হয়ে আছে সাড়ে ৮ বিঘা। গোলাম মওলা ছাড়াও অন্যান্য মালিকদের বাৎসরিক খাজনা দিতে সোহেল রানাকে।

রাজশাহী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. কবির হোসেন বলেন, এর আগে মেহেচন্ডি এলাকায় ওই পুকুর ভরাটের অভিযোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করা হয়। আইন অনুযায়ী পৌর অথবা সিটি করপোরেশন এলাকার ভেতরে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া জলাধারের আকার পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু তার পরও রাজশাহীতে অব্যাহতভাবে চলছে পুকুর-জলাধার ভরাট। এতে চরমভাবাপন্ন ও বিরূপ আবহাওয়ার শিকার হচ্ছেন মানুষ। যে ক’টি জলাশয় রয়েছে সেগুলো সংরক্ষণ করা না গেলে ভবিষ্যতে কোনো স্থানে আগুন নেভানোর পানি পাওয়াও দুষ্কর হয়ে পড়বে বলে মনে করেন তিনি।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) সূত্র জানায়, নগরীতে ১২০টি পুকুরের মধ্যে কর্তৃপক্ষ মাত্র ২২টি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি দুই একরের বেশি আয়তনের ২২টি পুকুর সরকারিভাবে সংরক্ষণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন অন্য পুকুরগুলোর বিষয়ে রাসিকের কোনো বক্তব্য নেই।
নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হোসেন আলী পিয়ারা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, এর আগে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) একটি প্রচারপত্র বিলি করেছিল। ওই প্রচারপত্রে বলা হয়, নগরীতে কেউ পুকুর ভরাট করতে চাইলে অনুমতি নিতে হবে। এমনকি কেউ অবৈধভাবে পুকুর ভরাটের বিষয়ে টেলিফোনে অভিযোগ করলেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র এর বিপরীত। আরডিএ কর্তৃপক্ষকে সরাসরি জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগরীর সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন, সিটি করপোরেশনের আওতাধীন যেসব এলাকায় পুকুর-জলাশয় ভরাট হচ্ছে সেসব এলাকার কাউন্সিলর, সরকার দলীয় স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ম্যানেজ করে অবৈধভাবে এ পুকুর-জলাশয় ভরাট কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে রাসিকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এ ব্যাপারে আরডিএ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন। তারা পদক্ষেপ নেবে। এ ছাড়া রাসিক কর্তৃপক্ষও ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।
তবে এ ব্যাপারে জানার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও আরডিএ’র সহকারী নগর পরিকল্পক মো. সাদরুল আনাম ফোন না ধরায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিষয়গুলি দেখেন এসি ল্যান্ড ও ইউএনও মহদয়। তাদের কোন লিখিত নির্দেশনা পেলে পরবর্তী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।