রাজশাহী নগরীতে ৬৩৭ জনের নামে বরাদ্দকৃত টিসিবি পণের কিছু অংশ পাচারের সময় তা আটক করেছে স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, এই কাজের সঙ্গে ডিলারও জড়িত রয়েছেন। পরে প্রশাসন ও ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমনের হস্তক্ষেপে আবারও পণ্যগুলো খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়।
সোমবার (১ এপ্রিল ) বিকেলে নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ড হাউজিং কোয়ার্টার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে টিসিবির ডিলার মুস্তাকিম ট্রেডার্সের কর্মচারি পাভেজ ও সারওয়ার একটি ব্যাটারি চালিত অটোতে করে টিসিবি পণ্য নিয়ে যাচ্ছিলেন।
এসময় হাউজিং কোয়ার্টার এলাকার লোকজন অটোটিকে আটক করে। পরে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ও ওয়ার্ড কার্যালয়ের সচিব ফায়সাল আহমেদ ঘটনা স্থলে ছুটে আসেন এবং তাদের হেফাজতে নেন। তার কিছুক্ষণ পর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। এরপর পণ্যগুলো খোলা বাজারে বিতরণ করা হয়।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, টিসিবির পণ্য বিতরণে অনিয়মের সঙ্গে ডিলারের লোকজনের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
এ ব্যাপারে মুস্তাকিম ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী মো. মুস্তাকিমকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে তার চাচা অরেঞ্জ আলী বলেন, পণ্য বিতরণে কোনো অনিয়ম করিনি। ৬৩৭ জনের নামে বরাদ্দকৃত পণ্যর মধ্যে অনেকে চাল, খেজুর, ডাল ও ছোলা নেন না। এছাড়া ৬টি কার্ডের পণ্য বেচে যাওয়ায় তা ঘুরত নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো।
বেচে যাওয়া পণ্যগুলো পরেরদিন সেই কার্ডের সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণের জন্য পয়েন্টে না রেখে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা ভুল হয়ে গেছে।
১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন বলেন, আমার ওয়ার্ডে জনসংখ্যার তুলনায় বরাদ্দ অনেক কম। বিতরণের ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম হলে আমি বরদাস্ত করবোনা। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) সহকারী পরিচালককের সাথে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাবো।
এঘটনায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) আঞ্চলিক কার্যালয়, রাজশাহীর সহকারী পরিচালক মোঃ শাহিদুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।