Dhaka 11:05 pm, Friday, 20 December 2024
বেকিং নিউজ :
Logo কুমিল্লার দেবিদ্বার বিহার মন্ডল এলাকায় বিএনপি’র কর্মী সভা অনুষ্ঠিত Logo মোহনপুরে এবার দেড় লাখ টন আলু উৎপাদনের সম্ভাবনা Logo চৌদ্দগ্রামে ডলবা গ্রাম কমিটি গঠন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo বিচারবিভাগের রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুণঃপ্রবর্তনের সুযোগ এসেছে – কুমিল্লায় হাবিব উন নবী সোহেল Logo আবাসিক হোটেল থেকে ৫ তরুণ ও ৩ তরুণী গ্রেফতার  Logo কুমিল্লায় কাপড়ের ব‍্যাগে গাঁজা পাচারকালে আটক দুই নারী Logo ময়মনসিংহ সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট -২০২৪ Logo মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৯ নং ওয়ার্ডে দিনব্যাপী ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত Logo কুমিল্লা তিতাস উপজেলায় ৯ নং মজিদপুর ইউনিয়নের বি এন পির নবগঠিত আহবায়ক কমিটি ঘোষণা Logo রাজশাহীতে হিমাগারের ৩৯ টাকার আলু খুচরা বাজারে ৭০ টাকায় বিক্রি

রাজশাহীতে হিমাগারের ৩৯ টাকার আলু খুচরা বাজারে ৭০ টাকায় বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী জেলায় হিমাগার রয়েছে ৪৩টি। এতে সংরক্ষণ করা যায় প্রায় ৮৫ লাখ বস্তা আলু। প্রতি বস্তায় আলু থাকে ৬০ থেকে ৬৫ কেজি। এখনও অনেক হিমাগারে আলু মজুত করে রাখা হয়েছে।

এ সব হিমাগারের মধ্যে গত রোববার ও মঙ্গলবার রাজশাহীর পবা উপজেলার দুটি হিমাগার থেকে সব আলু বের করে ৩৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। পাইকারী ব্যবসায়ীরা এ আলু কিনেছেন। খোলাবাজারে এ আলু ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার কথা। কিন্তু সেই আলু রাজশাহীর কাঁচাবাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে।

বুধবার রাজশাহীর সাহেববাজার কাঁচা বাজারে গিয়ে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পুরোনো আলু ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর নতুন আলু বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, সরকার পাইকারি বাজারে দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও হিমাগার মালিক ও ব্যবসায়ীরা একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে আলু মজুত রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছেন। তারা বাজারে বেশি দামে আলু বিক্রি করছেন।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ী ও মধ্যস্বত্বভোগী একটি চক্র যোগসাজশে আলুর দাম বাড়িয়ে বেশী দামে বিক্রি করছে। হিমাগারটি থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দুরে রাজশাহী শহরের কাঁচাবাজারের ৩৯ টাকার আলু বিক্রি করা হচ্ছে ৭০ টাকায়।

গোলাম মোস্তফা মামুন জানান, গত রোববার ও মঙ্গলবার দুটি হিমাগারে ভ্রম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মোট ২ হাজার ৬০৬ বস্তা আলু বিক্রি করেছে। আলুর বাজারে কয়েকদফা মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে চলমান অস্থিরতা ঠেকাতে সম্প্রতি পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। মজুত করা আলু ৩০ নভেম্বরের পর হিমাগারে রাখা যাবে না- এমন আদেশও দিয়েছে সরকার। কিন্তু পবার কয়েকটি হিমাগার নির্ধারিত সময়ের পরও বিপুল পরিমাণ আলু মজুদ করে রেখেছিল।

জানা গেছে, গত রোববার সন্ধ্যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদ হাসান পবার নওহাটা পৌরসভা এলাকার আলাইবিদিরপুর এলাকার আমান কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালিয়ে প্রতিটি ৬০ কেজির ৩০৬ বস্তা আলু খোলা বাজারে ৩৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি দেন। এই টাকা আলুর মালিককে দেওয়া হয়। এর একদিন পর মঙ্গলবার একই এলাকার রহমান ব্রাদার্স কোল্ড স্টোরেজ প্রাইভেট লিমিটেডে অভিযান চালান। সেখান থেকে দুই হাজার ৩০০ বস্তা আলু বের করে বিক্রি করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহরাব বলেন, মোট দুই হাজার ৬০৬ বস্তা আলু জব্দ করা হয়। খবর পেয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা এসে আলু সরকারি দরে কিনে নিয়ে যায়। যাদের কাছে আলু বিক্রি করেছেন তাদের ফোন নম্বর রেখে দিয়েছেন। এই আলু ভোক্তাদের কাছে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ৪৫ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। তারা যেখানে আলু বিক্রি করবেন সেখানে তারা তদারকি করবেন। যদিও এ পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব না। তারপরেও তারা করবেন।

তিনি বলেন, রাজশাহী জেলায় ৪৩টি হিমাগার আছে। এতে সংরক্ষণ বা মজুত করা যায় প্রায় ৮৫ লাখ বস্তা আলু। প্রতি বস্তায় আলু থাকে ৬০ থকে ৬৫ কেজি। এখনো অনেক হিমাগারে আলু মজুত আছে। পর্যায়ক্রমে সব হিমাগার পরিদর্শন করা হবে। আমাদের দায়িত্ব হিমাগারের মজুত খালি করে দেওয়া। ইতিমধ্যে দুটি হিমাগার খালি করে ফেলা হয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

কুমিল্লার দেবিদ্বার বিহার মন্ডল এলাকায় বিএনপি’র কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

রাজশাহীতে হিমাগারের ৩৯ টাকার আলু খুচরা বাজারে ৭০ টাকায় বিক্রি

আপলোড সময় : 01:30:13 am, Friday, 20 December 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী জেলায় হিমাগার রয়েছে ৪৩টি। এতে সংরক্ষণ করা যায় প্রায় ৮৫ লাখ বস্তা আলু। প্রতি বস্তায় আলু থাকে ৬০ থেকে ৬৫ কেজি। এখনও অনেক হিমাগারে আলু মজুত করে রাখা হয়েছে।

এ সব হিমাগারের মধ্যে গত রোববার ও মঙ্গলবার রাজশাহীর পবা উপজেলার দুটি হিমাগার থেকে সব আলু বের করে ৩৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। পাইকারী ব্যবসায়ীরা এ আলু কিনেছেন। খোলাবাজারে এ আলু ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার কথা। কিন্তু সেই আলু রাজশাহীর কাঁচাবাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে।

বুধবার রাজশাহীর সাহেববাজার কাঁচা বাজারে গিয়ে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পুরোনো আলু ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর নতুন আলু বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, সরকার পাইকারি বাজারে দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও হিমাগার মালিক ও ব্যবসায়ীরা একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে আলু মজুত রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছেন। তারা বাজারে বেশি দামে আলু বিক্রি করছেন।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ী ও মধ্যস্বত্বভোগী একটি চক্র যোগসাজশে আলুর দাম বাড়িয়ে বেশী দামে বিক্রি করছে। হিমাগারটি থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দুরে রাজশাহী শহরের কাঁচাবাজারের ৩৯ টাকার আলু বিক্রি করা হচ্ছে ৭০ টাকায়।

গোলাম মোস্তফা মামুন জানান, গত রোববার ও মঙ্গলবার দুটি হিমাগারে ভ্রম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মোট ২ হাজার ৬০৬ বস্তা আলু বিক্রি করেছে। আলুর বাজারে কয়েকদফা মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে চলমান অস্থিরতা ঠেকাতে সম্প্রতি পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। মজুত করা আলু ৩০ নভেম্বরের পর হিমাগারে রাখা যাবে না- এমন আদেশও দিয়েছে সরকার। কিন্তু পবার কয়েকটি হিমাগার নির্ধারিত সময়ের পরও বিপুল পরিমাণ আলু মজুদ করে রেখেছিল।

জানা গেছে, গত রোববার সন্ধ্যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদ হাসান পবার নওহাটা পৌরসভা এলাকার আলাইবিদিরপুর এলাকার আমান কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালিয়ে প্রতিটি ৬০ কেজির ৩০৬ বস্তা আলু খোলা বাজারে ৩৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি দেন। এই টাকা আলুর মালিককে দেওয়া হয়। এর একদিন পর মঙ্গলবার একই এলাকার রহমান ব্রাদার্স কোল্ড স্টোরেজ প্রাইভেট লিমিটেডে অভিযান চালান। সেখান থেকে দুই হাজার ৩০০ বস্তা আলু বের করে বিক্রি করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহরাব বলেন, মোট দুই হাজার ৬০৬ বস্তা আলু জব্দ করা হয়। খবর পেয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা এসে আলু সরকারি দরে কিনে নিয়ে যায়। যাদের কাছে আলু বিক্রি করেছেন তাদের ফোন নম্বর রেখে দিয়েছেন। এই আলু ভোক্তাদের কাছে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ৪৫ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। তারা যেখানে আলু বিক্রি করবেন সেখানে তারা তদারকি করবেন। যদিও এ পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব না। তারপরেও তারা করবেন।

তিনি বলেন, রাজশাহী জেলায় ৪৩টি হিমাগার আছে। এতে সংরক্ষণ বা মজুত করা যায় প্রায় ৮৫ লাখ বস্তা আলু। প্রতি বস্তায় আলু থাকে ৬০ থকে ৬৫ কেজি। এখনো অনেক হিমাগারে আলু মজুত আছে। পর্যায়ক্রমে সব হিমাগার পরিদর্শন করা হবে। আমাদের দায়িত্ব হিমাগারের মজুত খালি করে দেওয়া। ইতিমধ্যে দুটি হিমাগার খালি করে ফেলা হয়েছে।