Dhaka 7:22 am, Saturday, 28 December 2024

রাজশাহীতে বৃষ্টি চেয়ে নামাজ, কাঁদলেন মুসল্লিরা

তীব্র খরায় পুড়ছে রাজশাহী। বৃষ্টির জন্য মুসল্লিরা আদায় করলেন ইস্তিসকার নামাজ।

রাজশাহী নগরীর তেরোখাদিয়ায় শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়ামে এ নামাজ আদায় করা হয়।

এসময় মুসল্লিরা অঝোরে কাঁদলেন বৃষ্টির জন্য। আজ ২৪ (এপ্রিল) বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটায় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন এলাকার শত শত মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন এবং বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন।

নামাজের শুরুতে ইমাম প্রথমে মুসল্লিদের উদ্দেশে নিয়মকানুন বলেন। এরপর মুসল্লিরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছেন। এতে ইমামতি করেন মাওলানা আবুল কাশেম ফারুকী।

পরে তিনি আরবিতে খুতবা দেন। যেখানে তীব্র গরমের কথা উল্লেখ করে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির প্রার্থনা করেন। আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা নামাজে অংশ নেন।

এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ প্রার্থনা করা হয়।

নামাজ আদায় শেষে মাওলানা আবুল কাশেম ফারুকী বলেন,কোরআন-হাসিদের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণেই মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। সে জন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের জন্য তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।

Write Your Comment

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

রাজশাহীতে বৃষ্টি চেয়ে নামাজ, কাঁদলেন মুসল্লিরা

আপলোড সময় : 04:52:53 pm, Thursday, 25 April 2024

তীব্র খরায় পুড়ছে রাজশাহী। বৃষ্টির জন্য মুসল্লিরা আদায় করলেন ইস্তিসকার নামাজ।

রাজশাহী নগরীর তেরোখাদিয়ায় শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়ামে এ নামাজ আদায় করা হয়।

এসময় মুসল্লিরা অঝোরে কাঁদলেন বৃষ্টির জন্য। আজ ২৪ (এপ্রিল) বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটায় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন এলাকার শত শত মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন এবং বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন।

নামাজের শুরুতে ইমাম প্রথমে মুসল্লিদের উদ্দেশে নিয়মকানুন বলেন। এরপর মুসল্লিরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছেন। এতে ইমামতি করেন মাওলানা আবুল কাশেম ফারুকী।

পরে তিনি আরবিতে খুতবা দেন। যেখানে তীব্র গরমের কথা উল্লেখ করে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির প্রার্থনা করেন। আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা নামাজে অংশ নেন।

এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ প্রার্থনা করা হয়।

নামাজ আদায় শেষে মাওলানা আবুল কাশেম ফারুকী বলেন,কোরআন-হাসিদের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণেই মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। সে জন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের জন্য তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।