রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সারাদেশের আলোচিত বিএনপি নেতা আবু সাইদ চাঁদ আড়াই ঘন্টার প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তার মায়ের জানাজায় অংশগ্রহন করেন। রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুর ১টায় চারঘাট উপজেলার মাড়িয়া গ্রামে তার মায়ের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে আবু সাইদ চাঁদের মায়ের দাফন সম্পন্ন করা হয়। দুপুর দেড়টায় দাফন শেষে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে তাকে আবার রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।
এর আগে গত শনিবার সকাল ৯টায় আবু সাইদ চাঁদের মা মোছাঃ আশরাফুন্নেছা ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।
মায়ের মৃত্যুর পর জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য আবু সাইদ চাঁদের পক্ষ থেকে তার আইনজীবী প্যারোলে মুক্তির জন্য আবেদন জানান। পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আড়াই ঘন্টার জন্য তার প্যারোল মুঞ্জুর করেন। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশেষ পুলিশ পাহারায় তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে চারঘাট উপজেলার মাড়িয়া গ্রামে নিয়ে আসা হয়।
এই দিকে আবু সাইদ চাঁদর মায়ের জানাজা ও দাফন কাজে অংশ নিতে নিজ বাড়িতে এসে পৌঁছালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী সহ প্রায় ৬-৭ হাজার মানুষ সমবেত হন। আবু সাইদ চাঁদকে জড়িয়ে ধরে বিএনপির নেতাকর্মীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু বলেন,মায়ের মৃত্যুর খবরে বিএনপি নেতা আবু সাইদ চাঁদকে আড়াই ঘন্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। জানাজা নামাজ শেষে পুলিশী পাহারায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে প্যারোলে মুক্তির পর জানাজায় ব্যাপক লোক সমাগম হলেও বিএনপির নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় সুষ্ঠু পরিবেশে জানাজা ও দাফন শেষ হয়েছে।
এ সময় জানাজায় আরো উপস্থিত ছিলেন,বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক এ্যাড. শফিকুল হক মিলন,সাবেক মেয়র ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল,রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান।
রাজশাহী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃসাইফুল ইসলাম মার্শাল,চারঘাট উপজেলার চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ ফকরুল ইসলাম,চারঘাট উপজেল আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন,রাজশাহী জেলা জামায়তের সেক্রেটারী নাজমুল হক,চারঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকিরুল ইসলাম বিকুল,জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম সরকার,জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি তরিকুল ইসলাম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সহযোগী সঠনের নেতাকর্মীরা। মাড়িয়া ওয়ার্ড,শলুয়া ইউনিয়ন ও আসে পাশের সকল ইউনিয়নের সর্বসাধারণ মানুষ।