Dhaka 1:51 am, Tuesday, 24 December 2024

রাজশাহীতে খামারিদের কাছ থেকে সরাসরি ডিম এনে বিক্রি করছেন স্বেচ্ছাসেবী তরুণ সংগঠন

রাজশাহীতে খামারিদের কাছ থেকে সরাসরি ডিম এনে বিক্রি করছেন স্বেচ্ছাসেবী কয়েকজন তরুণ। গতকাল মঙ্গলবার নগরের সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে বড় মসজিদের পাশে একটি জায়গায় মানুষের জটলা। রীতিমতো হইচই পড়ে যাওয়া জায়গাটিতে গিয়ে দেখা গেল, ‘ভলান্টিয়ার্স অব রাজশাহী’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বল্পমূল্যে ডিম বিক্রি করছে। আর তাতেই ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে ডিম কিনছেন।

তরুণদের এই সংগঠন গত মঙ্গলবার রাজশাহী নগরের সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট ছাড়াও লক্ষ্মীপুর মোড় ও কোট স্টেশন এলাকায় একই দামে ডিম বিক্রি করেছে। বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিনটি জায়গায় তারা ১০ হাজারের বেশি ডিম বিক্রি করেছে। সংগঠনটি খামারিদের কাছ থেকে সরাসরি ডিম এনে বিক্রি করছে। লাল রঙের ফার্মের ডিম ৪৮ টাকা হালি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আর এক ডজন ১৪২ টাকায় এবং এক খাঁচা (৩০টি ডিম) ৩৫২ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন, বাজারে ডিমের দাম অনেক বেশি। এ জায়গায় এসে তাঁরা দেখেন, ডিমের হালিতে ছয় থেকে আট টাকা পর্যন্ত কম। অথচ আজ বাজারে খুচরায় ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা পর্যন্ত লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে।

 

ভলান্টিয়ার্স অব রাজশাহী সংগঠনের সভাপতি যুবায়ের মাহমুদ বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মধ্যে ডিমটা নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। নানা রকম সিন্ডিকেটের কথাও শোনা যাচ্ছে। সেই জায়গা থেকে তাঁরা উদ্যোগ নিয়ে সরাসরি খামার থেকে ডিম এনে বিক্রি করছেন। তাঁদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডিমের ডিলার। তাঁর মাধ্যমে তাঁরা ডিম নিয়ে এসেছেন। এতে তাঁদের শুধু ভ্যানভাড়া ও ঠোঙার খরচ হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভলান্টিয়ার্স অব রাজশাহী সংগঠনের, কোট স্টেশন বুথে সাকিব, হাবিব, কিবরিয়া, সোহাগ, আশিক, শিলা, সূচনা ও মুসকান, জিরো পয়েন্টে সদস্যরা ছিলেন স্বাধীন, দেলোয়ার, জীবন, হোসেন,মন্নুজান, খাইরুল নাইম, লক্ষ্মীপুর পয়েন্টে ছিলেন কাফি, রাহাত হাফিজ, ফাতেমা, মায়া,জাহিদ, কাইফ, জাহিদ ও সেতু-সহ আরো অনেকে ভলান্টিয়ার্স অব রাজশাহী সংগঠনকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছেন মেসার্স ডিএস এন্টারপ্রাইজ।

 

এ উদ্যোগের ফলে বাজারে প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহী জেলার সহকারী পরিচালক মাসুম আলী। তিনি বলেন, যখন বাজারে কোনো পণ্যের দাম বেড়ে যায়, তখন সেই পণ্য খামার বা মাঠপর্যায় থেকে এনে যদি কেউ সরাসরি ভোক্তার কাছে বিক্রি করে, তাতে অবশ্যই বাজারে প্রভাব পড়বে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

রাজশাহীতে খামারিদের কাছ থেকে সরাসরি ডিম এনে বিক্রি করছেন স্বেচ্ছাসেবী তরুণ সংগঠন

আপলোড সময় : 07:30:20 pm, Wednesday, 23 October 2024

রাজশাহীতে খামারিদের কাছ থেকে সরাসরি ডিম এনে বিক্রি করছেন স্বেচ্ছাসেবী কয়েকজন তরুণ। গতকাল মঙ্গলবার নগরের সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে বড় মসজিদের পাশে একটি জায়গায় মানুষের জটলা। রীতিমতো হইচই পড়ে যাওয়া জায়গাটিতে গিয়ে দেখা গেল, ‘ভলান্টিয়ার্স অব রাজশাহী’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বল্পমূল্যে ডিম বিক্রি করছে। আর তাতেই ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে ডিম কিনছেন।

তরুণদের এই সংগঠন গত মঙ্গলবার রাজশাহী নগরের সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট ছাড়াও লক্ষ্মীপুর মোড় ও কোট স্টেশন এলাকায় একই দামে ডিম বিক্রি করেছে। বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিনটি জায়গায় তারা ১০ হাজারের বেশি ডিম বিক্রি করেছে। সংগঠনটি খামারিদের কাছ থেকে সরাসরি ডিম এনে বিক্রি করছে। লাল রঙের ফার্মের ডিম ৪৮ টাকা হালি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আর এক ডজন ১৪২ টাকায় এবং এক খাঁচা (৩০টি ডিম) ৩৫২ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন, বাজারে ডিমের দাম অনেক বেশি। এ জায়গায় এসে তাঁরা দেখেন, ডিমের হালিতে ছয় থেকে আট টাকা পর্যন্ত কম। অথচ আজ বাজারে খুচরায় ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা পর্যন্ত লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে।

 

ভলান্টিয়ার্স অব রাজশাহী সংগঠনের সভাপতি যুবায়ের মাহমুদ বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মধ্যে ডিমটা নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। নানা রকম সিন্ডিকেটের কথাও শোনা যাচ্ছে। সেই জায়গা থেকে তাঁরা উদ্যোগ নিয়ে সরাসরি খামার থেকে ডিম এনে বিক্রি করছেন। তাঁদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডিমের ডিলার। তাঁর মাধ্যমে তাঁরা ডিম নিয়ে এসেছেন। এতে তাঁদের শুধু ভ্যানভাড়া ও ঠোঙার খরচ হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভলান্টিয়ার্স অব রাজশাহী সংগঠনের, কোট স্টেশন বুথে সাকিব, হাবিব, কিবরিয়া, সোহাগ, আশিক, শিলা, সূচনা ও মুসকান, জিরো পয়েন্টে সদস্যরা ছিলেন স্বাধীন, দেলোয়ার, জীবন, হোসেন,মন্নুজান, খাইরুল নাইম, লক্ষ্মীপুর পয়েন্টে ছিলেন কাফি, রাহাত হাফিজ, ফাতেমা, মায়া,জাহিদ, কাইফ, জাহিদ ও সেতু-সহ আরো অনেকে ভলান্টিয়ার্স অব রাজশাহী সংগঠনকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছেন মেসার্স ডিএস এন্টারপ্রাইজ।

 

এ উদ্যোগের ফলে বাজারে প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহী জেলার সহকারী পরিচালক মাসুম আলী। তিনি বলেন, যখন বাজারে কোনো পণ্যের দাম বেড়ে যায়, তখন সেই পণ্য খামার বা মাঠপর্যায় থেকে এনে যদি কেউ সরাসরি ভোক্তার কাছে বিক্রি করে, তাতে অবশ্যই বাজারে প্রভাব পড়বে।