নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী নগরীতে প্রায় শতাধিক ইজিবাইকে করে ‘মেগা লাকী ড্র’ এর নামে চলছে রমরমা লটারি বাণিজ্য। ৩০ টাকা দিয়ে টিকিট কিনলে একটি ইয়ার-ফোন ফ্রি সাথে থাকছে ৩১ ডিসেম্বর মেগা ড্র’তে পুরষ্কার রয়্যাল ইনফিল্ড মোটরসাইকেলসহ ৪১ টি আকর্ষণীয় পুরস্কারের প্রলোভনে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর রাজশাহীতে ফের চালু হয়েছে র্যাফেল ড্র বা মেগা ড্র বিভিন্ন নামের জুয়ার এ লটারি। ১৫ ডিসেম্বর থেকে লটারির টিকিট বিক্রি করতে দেখা গেছে নগরীতে। স্থানীয়রা বলছেন, মেগা ড্র’কে লটারি বলা হলেও এটি এক ধরনের উন্মুক্ত জুয়া।
এদিকে, লটারির আড়ালে এ ধরনের জুয়া বন্ধের দাবিতে ইতোমধ্যে সচেতন মহল এর পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এতে বন্ধ না হয়ে আয়োজকদের তৎপরতা আরো বেড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র কিছু নেতাদের সাথে কথা বলে এই মেগা ড্র চালু করেছেন নগরীর শিরোইল দোসর মন্ডল মোড়ে অবস্থিত ভারটেক্স স্কুলের ৬ষ্ঠ তলায় এইচটিএন ইন্টারন্যাশনাল নামের এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক নাঈম হোসেন।
“নিম্ন আয়ের মানুষকে টার্গেট করে এসব আয়োজন করা হয়েছে। পুরষ্কারে মোটরসাইকেলের কথা প্রচার করে এরা শহর-গ্রামেগঞ্জে লাখ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি করছে। রিকসা, ভ্যানচালক, কুলি-মজুর সারাদিন যা আয় করে, সবাই বিকাল থেকে সেখানে লাইন দিয়ে টিকিট কিনছে। এটা বন্ধ করতে না পারলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে” বলে স্থানীয়রা জানান।
এ বিষয়ে আয়োজক এইচটিএন ইন্টারন্যাশনাল এর পরিচালক নাঈম জানান, আমি অনুমতির জন্য পুলিশ কমিশনার এর কাছে আবেদন করেছিলাম পাই নাই তবে শুধু সিটি কর্পোরেশন এর অনুমতি পেয়েছি আর এ বিষয়ে তারেক ভাইয়ের সাথে কথা বলেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক তারেক প্রতিবেদকে জানান,আপনি সন্ধার পরে আমার সাথে দেখা করেন সাক্ষাতে কথা বলবো।
মেগা ড্র এর নামে নগরজুড়ে ইজিবাইকে করে টিকিট বিক্রি সম্পর্কে জানতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান’কে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মেহেদী মাসুদ বলেন, রাজশাহীতে র্যাফেল বা মেগা ড্র’র নামে জুয়ার কোনো অনুমোদন নেই। মেগা ড্র’র নামে লটারির টিকিট বিক্রির বিষয়টি আমি অবগত না।