Dhaka 11:15 pm, Friday, 20 December 2024
বেকিং নিউজ :
Logo কুমিল্লার দেবিদ্বার বিহার মন্ডল এলাকায় বিএনপি’র কর্মী সভা অনুষ্ঠিত Logo মোহনপুরে এবার দেড় লাখ টন আলু উৎপাদনের সম্ভাবনা Logo চৌদ্দগ্রামে ডলবা গ্রাম কমিটি গঠন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo বিচারবিভাগের রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুণঃপ্রবর্তনের সুযোগ এসেছে – কুমিল্লায় হাবিব উন নবী সোহেল Logo আবাসিক হোটেল থেকে ৫ তরুণ ও ৩ তরুণী গ্রেফতার  Logo কুমিল্লায় কাপড়ের ব‍্যাগে গাঁজা পাচারকালে আটক দুই নারী Logo ময়মনসিংহ সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট -২০২৪ Logo মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৯ নং ওয়ার্ডে দিনব্যাপী ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত Logo কুমিল্লা তিতাস উপজেলায় ৯ নং মজিদপুর ইউনিয়নের বি এন পির নবগঠিত আহবায়ক কমিটি ঘোষণা Logo রাজশাহীতে হিমাগারের ৩৯ টাকার আলু খুচরা বাজারে ৭০ টাকায় বিক্রি

রমেকে রিং বাণিজ্য অভিযোগ নিয়ে যা বলছেন স্বয়ং  ডা.মাহাবু্ুর রহমান

গত ৬ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিক ও ৫ ডিসেম্বর কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে হার্টে রিং পরান একটা টাকা নেন তিনটার এবং রংপুরের ডা. মাহবুবুর রহমানের ‘রিং বাণিজ্য’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মাহবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে ।
আমি ওই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি ।
রংপুরসহ দেশবাসীর জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, আমি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকরি গ্রহণের পর থেকে অত্যন্ত সততার সঙ্গে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছি ।
আমার সার্ভিস লাইফে কোনো প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি বা আমার বিরুদ্ধে হাসপাতালে কোনো লিখিত অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি অতীতে। আমি কোনো প্রকার অফিসিয়াল দুর্নীতি বা অনিয়মের জন্য বিভাগীয় শাস্তিও পাইনি ।
আমার বিরুদ্ধে যে হার্টে রিং পরান একটা, টাকা নেন তিনটার অভিযোগ প্রকাশ করা হয়েছে তারও কোনো সত্যতা নেই । আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই,হার্টে রিং পরানোর এবং এনজিও গ্রাম করার সময় ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয় সেখানে রোগীর স্বজন সেটা দেখিয়ে দেয়া হয় এবং সিডি করে সেই ডিস্ক রোগীকে দেয়া হয় সেখানে সবকিছু
ক্লিয়ার দেয়া রয়েছে । তিনি আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে এধরনের কোন কথা আমি রোগি বা রোগির লোক কে বলি নাই এবং এ পরিমানের কোন টাকাও তারা দেয় নাই। আমি যা করেছি বা বলেছি তার দালিলিক প্রমান তদন্ত কমিটিকে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে রিং পরানো এনজিও গ্রাম সেবা বন্ধ ছিল।
সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিং পড়ানো এবং এনজিও গ্রাম খরচ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর ৩ ভাগের ১ ভাগ হওয়ায় কিছু সিন্ডিকেট ও কুচক্রী মহল রোগীর স্বজনকে ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
এই চক্রটি চায় না রংপুরে কম সেবায় সেবাটি পাক। প্রকৃত সত্য হলো, আমার চাকরি জীবনকে বিতর্কিত করা ও মান সম্মানের ক্ষতিসাধন করার জন্য একটি সিন্ডিকেট
মনগড়া ওই অসত্য তথ্য উপস্থাপন করেছেন, আর সেই অসত্য বিষয়কে উপস্থাপন জাতীয় পত্রিকা এবং অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে । এই নিউজ প্রকাশের কারণে আমি সমাজে হেয়-প্রতিপন্ন হয়েছি এবং আমার চাকরি জীবন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে । তাই আমি ওই বিভ্রান্তমূলক সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি,জনবিভ্রান্তি দূর করার জন্য এই প্রতিবাদটি প্রকাশ করছি।
দীর্ঘ ৪/৫ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আমি বলব, আমাদের প্রচেষ্টা ও উপরে মহান আল্লাহ্‌ র ইচ্ছায় আমরা রংপুর মেডিকেল এ ক্যাথল্যাব পুনরায় চালু করতে সক্ষম হয়েছি২০২২ সালে । এ কথা রংপুর মেডিকেল এর সবাই জানে । এ পর্যন্ত আমি এখানে ৭০০ এনজিওগ্রাম, ১০০ + রিং লাগানো, ৫০+ পেসমেকার স্থাপন সফলভাবে সম্পন্ন করেছি । আমাদের সফলতা ৯৯.২%.আলহামদুলিল্লাহ। ঢাকার তিন ভাগের এক ভাগ খরচে এখানে আমি এই operation গুলি করে দিচ্ছি । আমার জন্য দুয়া করবেন যেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই উত্তর জনপদের দরিদ্র মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখি।

ডা. মাহবুবুর রহমান হৃদরোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট,রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

কুমিল্লার দেবিদ্বার বিহার মন্ডল এলাকায় বিএনপি’র কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

রমেকে রিং বাণিজ্য অভিযোগ নিয়ে যা বলছেন স্বয়ং  ডা.মাহাবু্ুর রহমান

আপলোড সময় : 02:24:45 pm, Thursday, 19 December 2024

গত ৬ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিক ও ৫ ডিসেম্বর কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে হার্টে রিং পরান একটা টাকা নেন তিনটার এবং রংপুরের ডা. মাহবুবুর রহমানের ‘রিং বাণিজ্য’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মাহবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে ।
আমি ওই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি ।
রংপুরসহ দেশবাসীর জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, আমি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকরি গ্রহণের পর থেকে অত্যন্ত সততার সঙ্গে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছি ।
আমার সার্ভিস লাইফে কোনো প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি বা আমার বিরুদ্ধে হাসপাতালে কোনো লিখিত অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি অতীতে। আমি কোনো প্রকার অফিসিয়াল দুর্নীতি বা অনিয়মের জন্য বিভাগীয় শাস্তিও পাইনি ।
আমার বিরুদ্ধে যে হার্টে রিং পরান একটা, টাকা নেন তিনটার অভিযোগ প্রকাশ করা হয়েছে তারও কোনো সত্যতা নেই । আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই,হার্টে রিং পরানোর এবং এনজিও গ্রাম করার সময় ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয় সেখানে রোগীর স্বজন সেটা দেখিয়ে দেয়া হয় এবং সিডি করে সেই ডিস্ক রোগীকে দেয়া হয় সেখানে সবকিছু
ক্লিয়ার দেয়া রয়েছে । তিনি আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে এধরনের কোন কথা আমি রোগি বা রোগির লোক কে বলি নাই এবং এ পরিমানের কোন টাকাও তারা দেয় নাই। আমি যা করেছি বা বলেছি তার দালিলিক প্রমান তদন্ত কমিটিকে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে রিং পরানো এনজিও গ্রাম সেবা বন্ধ ছিল।
সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিং পড়ানো এবং এনজিও গ্রাম খরচ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর ৩ ভাগের ১ ভাগ হওয়ায় কিছু সিন্ডিকেট ও কুচক্রী মহল রোগীর স্বজনকে ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
এই চক্রটি চায় না রংপুরে কম সেবায় সেবাটি পাক। প্রকৃত সত্য হলো, আমার চাকরি জীবনকে বিতর্কিত করা ও মান সম্মানের ক্ষতিসাধন করার জন্য একটি সিন্ডিকেট
মনগড়া ওই অসত্য তথ্য উপস্থাপন করেছেন, আর সেই অসত্য বিষয়কে উপস্থাপন জাতীয় পত্রিকা এবং অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে । এই নিউজ প্রকাশের কারণে আমি সমাজে হেয়-প্রতিপন্ন হয়েছি এবং আমার চাকরি জীবন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে । তাই আমি ওই বিভ্রান্তমূলক সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি,জনবিভ্রান্তি দূর করার জন্য এই প্রতিবাদটি প্রকাশ করছি।
দীর্ঘ ৪/৫ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আমি বলব, আমাদের প্রচেষ্টা ও উপরে মহান আল্লাহ্‌ র ইচ্ছায় আমরা রংপুর মেডিকেল এ ক্যাথল্যাব পুনরায় চালু করতে সক্ষম হয়েছি২০২২ সালে । এ কথা রংপুর মেডিকেল এর সবাই জানে । এ পর্যন্ত আমি এখানে ৭০০ এনজিওগ্রাম, ১০০ + রিং লাগানো, ৫০+ পেসমেকার স্থাপন সফলভাবে সম্পন্ন করেছি । আমাদের সফলতা ৯৯.২%.আলহামদুলিল্লাহ। ঢাকার তিন ভাগের এক ভাগ খরচে এখানে আমি এই operation গুলি করে দিচ্ছি । আমার জন্য দুয়া করবেন যেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই উত্তর জনপদের দরিদ্র মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখি।

ডা. মাহবুবুর রহমান হৃদরোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট,রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল