বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আসন্ন রমজানে কোনো পণ্যের সংকট হবে না। ইতোমধ্যে খেজুরসহ চারটি পণ্যের শুল্ক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই সপ্তাহেই আমরা আমদানিকারক ও প্রস্তুতকারীদের সঙ্গে বসে তেলের দাম ঠিক করে দেব। শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মী ও সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ভারত আমাদের পেঁয়াজ ও চিনি সরবরাহের জন্য রাজি হয়েছে। ভারতসহ অন্য পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ যাতে রাখতে পারি সে জন্য আমরা কাজ করব। খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, চালের কোনো সংকট নেই। আমাদের ১৭ লাখ টনের ওপরে চালের মজুত রয়েছে। কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, আমনের আবাদ ভালো হয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন যথেষ্ট পরিমাণে আমদানি হয়েছে।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা আমাকে বলেছেন আগে বিভিন্ন জাহাজে পণ্য আসত, সেসব পণ্য তারা সরাসরি বাংলাদেশে সরবরাহ করতে পারতেন। কিন্তু এখন যারা জাহাজের মালিক তারাই মিলের মালিক, তারাই সরবরাহকারী। জাহাজ ও মিলের মালিক দুই-চারজন আছেন। তারা যেন এককভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নেব। খাতুনগঞ্জ, মৌলভীবাজার, বাদামতলীসহ পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরাও যেন পণ্য আমদানি করে সরবরাহ ঠিক রাখতে পারেন সেটাও আমরা ব্যবস্থা করব। দুই, চার, দশটা কোম্পানির কাছে আমাদের পুরো সরবরাহ ব্যবস্থা যেন জিম্মি হয়ে না পড়ে। এ ক্ষেত্রে টিসিবি একটা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বৃহস্পতিবারই এক কোটি পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ শুরু করেছি। আমরা এবার চাল, ডাল, চিনি ও তেল দিচ্ছি।
মতবিনিময় সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান, ভাইস চেয়ারম্যান এসএম এহসানুল হক সুমন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল হক, সহ-সভাপতি এস প্রতাপ মুকুলসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন