স্থানীয় ও সরেজমিন সূত্র জানা যায়।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলাধীন ৭ নং মর্ণেয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড ভাঙ্গাগড়া বাজারে মর্নেয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রস্তুতকৃত বাড়ি বন্টনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
মর্ণেয়া আশ্রয়নের সভাপতি মোনায়েম আলী সাংবাদিকদের বলেন – আমরা ভূমিহীন ১৪০ টি প্রতিবার গত ২২ বছর ধরে এই আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাস করে আসছি ।
আমাদের বাড়ি-ঘরের টিনের চাল নষ্ট হয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরায় বিষয়টি গঙ্গাচড়া উপজেলা ইউ এন ও মহোদয় কে অবগত করি ।
বিষয়টি তিনি আমলে নিয়ে আমাদেরকে নতুন ঘর দেয়ার আশ্বাস দেন।
তারপর আমারের পুরাতন ঘর গুলো ভেঙ্গে দিয়ে নতুন ঘর নির্মাণ শুরু করেন।
সেইসাথে আরো ৭০ টি ঘর নতুন করে যোগ করেন। তিনি আমাদেরকে কথা দিয়েছিলেন ১৪০ টি ঘরের সাথে বর্ধিত আরো ৭০ টি ঘর আমাদের সন্তান ও আশেপাশের ভূমিহীন লোকদেরকে উপহার দিবেন।
কিন্তু ৭০ টি ঘর হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত হলে তা আমাদেরকে বিতরণ না করে বহিরাগত লোকদেরকে দিচ্ছেন।
এমতাবস্থায় আমরা খুবি দুর্বিষহ জীবন যাপন করছি ,কারো ঘরের চাল নাই, কারো ঘরের বেরা নাই ,কারো বা টয়লেট নাই এমনকি রান্নাবান্না করার জন্য ভালো ব্যবস্থা নাই।
এছাড়াও আশ্রয়নের একাধিক সদস্য অভিযোগ করেন সামনে ঝরবাতাসের দিন আসতেছে, আমাদের এখানে পঙ্গু লোক আছে, গর্ভবতী লোক আছে, অন্ধ লোক আছে, যাদের পুরাতন ঘরগুলো ভেঙ্গে দেয়ার কারণে বসবাসে আমরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।
আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই তিনি আমাদেরকে ২০০১ সালে ঘর গুলো দিয়েছিলেন, সেই ঘরগুলো ভেঙ্গে দিয়ে নতুন ঘর তৈরি করা হলো কিন্তু সেই ঘরগুলো আমাদেরকে না দিয়ে বহিরাগত লোকদেরকে দিচ্ছেন।
আমরা এখন খুবি সমস্যায় আছি, আমরা দ্রুত আমাদের ঘরগুলো ফেরত চাই ; আর তা নাহলে আমারা কঠোর আন্দোলন করব আমরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেব।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না সাংবাদিকদের বলেন- আমরা সকলকে ঘর দেয়ার আশ্বাস দিয়েছি, পূর্বের যারা সদস্য ছিল সবাই ঘর পাবে।
ইতোমধ্যে মর্ণেয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের ১৪০ জন সদস্যের মধ্যে অনেকেই চলে গেছেন।
বাকি যারা আছেন সকলেই ঘর পাবেন।
বেকিং নিউজ :
রংপুরে আশ্রয়ন প্রকল্পের পূর্ণবাসিত বাড়ি বন্টনে অনিয়মের অভিযোগ
- মাটি মামুন, রংপুর।
- আপলোড সময় : 04:31:46 pm, Saturday, 23 March 2024
- 75 বার পড়া হয়েছে
জনপ্রিয়