নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ৩নং রায়ঘাটি ইউপির বড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল হোসেনের বিরুদ্ধে নিয়োগে বাণিজ্যের অভিযোগ করেছে এলাকাবাসিরা । এ বিষয়ে এলাকার প্রায় ৫০ জন ব্যক্তির স্বাক্ষরিত আবেদনপত্রের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগপত্র জমা দেন তারা।
অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, মোহনপুর উপজেলার বড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি যোগসাজরে কিছুদিন পূর্বে ৩৯ লাখ টাকার বিনিময়ে ৩ টি নিয়োগ প্রদান করেন, যাহা বিধি নিয়মের বর্হিরভূত। এরমধ্যে সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে কামাল হোসেন, তিনি ইতিপূর্বে লালইচ আলিম মাদ্রাসায় ছাত্রী কেলেঙ্কারিতে পরিচিত, তাকে ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ প্রদান করে। রায়ঘাটি ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার আলী দলীয় প্রভাবসহ ১২ লাখ টাকা দিয়ে তার ছেলে কাউছার আলীকে নিরাপত্তা কর্মী পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করে। এছাড়া আওয়ামী লীগের সদস্ মোারুল ইসলামের স্ত্রী তারা মনিকে দলীয় প্রভাবসহ ১২ লাখ টাকা নিয়ে আয়া পদে নিয়োগ দেয় বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। বর্তমানে টাকার বিনিময়ে ও নিয়ম বর্হিরভূত ৩ টি পদে নিয়োগ বাতিলসহ তদন্ত-পূর্বক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধও জানান এলাকাবাসিরা।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন, আমি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের সকল নিয়ম, বিধি-বিধান মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। আমি নিজে কোন অর্থনৈতিক লেনদেন করিনি। অথবা চাকরি প্রত্যাশীদের সঙ্গে গোপনে কারো কোন অর্থনৈতিক লেনদেন হয়ে থাকলেও সে বিষয়ে আমার জানা নেই।
এবিষয়ে বড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন সভাপতি এবং ৩নং রায়ঘাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবলু হোসেন বলেন, উপরোক্ত তিনটি পদে নিয়োগের জন্য কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন করা হয়নি। নিয়োগের সমস্ত নিয়মকানুন এবং বিধি-বিধান মোতাবেক যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।