মোঃ ইকরামুল হক রাজিব।।
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার পৌর শহর থেকে এক তরুণীকে তুলে নিয়ে মৎস্য ঘেরে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকালে ৭ জনকে আসামি করে মোংলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার ওই তরুণীর এক আত্মীয়। সেদিন রাতে অভিযান চালিয়ে মোংলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫ জনকে আটক করে মোংলা থানা পুলিশ।
মোংলা থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, মোংলা পৌর শহরের মিয়াপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া ২২ বছর বয়সী ওই তরুণীর সাথে মোবাইল ফোনে ১০/১২ দিন আগে পরিচয় হয় উপজেলার বাশতলা এলাকার বাসিন্দা রুমান ফকির (২৫) ও চিলা ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ রাসেল শেখ (২২) এর সাথে।
এরপর (৩ জুন) আসামিরা ভিকটিম ওই তরুণীকে দেখা করতে মোংলা কলেজের সামনে আসতে বলে। তাদের কথায় সাড়া দিয়ে ভিকটিম ওই তরুনী সন্ধ্যার দিকে মোংলা কলেজের সামনে আসে। এরপর অভিযুক্ত রুমান ও রাসেল ওই তরুণীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একটি মোটর সাইকেলে উঠিয়ে অপর আসামি রানা শেখ এর মৎস্য ঘেরে নিয়ে হাত মুখ ও চোখ বেঁধে গণধর্ষন করে।
এক পর্যায়ে ওই তরুনী জ্ঞান হারিয়ে অচেতন হয়ে পড়লে আসামিরা রাত ১ টার দিকে তরুণীকে হাত মুখ বাঁধা অবস্থায় চাঁদপাই ইউনিয়নের মৌখালী ব্রীজের কাছে ফেলে
পালিয়ে যায়।
পরে এক ভ্যান চালক ওই তরুণীকে উদ্ধার করে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেন। এরপর (৪ জুন) বিকালে মোংলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে ভিকটিমের নিকটাত্বীয় বোন। অভিযোগে তিনি ৭ জনকে আসামি করেন।
আসামিরা হলেন- উপজেলার উত্তর বাশতলা এলাকার মনিরুল ফকিরের ছেলে রুমান ফকির(২৫), চিলা ইউনিয়নের মৃত চান মিয়া শেখের ছেলে রাসেল শেখ(২২),বাশতলা ইউনিয়নের ওলি শেখের ছেলে রানা শেখ(২৪),একই এলাকার বায়েজিদ খানের ছেলে সুমন খান(২৯),বাশার মোছল্লীর ছেলে মিজানুর মোসল্লী(৩৬),মৃত আঃ রশিদের ছেলে মোঃ জামাল(৪৫),লুৎফরের ছেলে মোঃ আওয়াল(৩৫)।
ভিকটিম ওই তরুনী মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএ চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, চিংড়ি ঘেরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষনের অভিযোগে ৭ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এরমধ্যে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়ের ও সকল আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।