নৌপথ শতভাগ নিরাপদ রাখতে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে চালিভাঙ্গা নৌ-পুলিশ। রবিবার ১৩ই অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে দিনগত রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন তারা। অভিযান চলাকালে ১টি ড্রেজার ও এক হাজার বর্গমিটারের ১টি কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
সোমবার সকালে ফাঁড়ির এসআই মোমেন ভূঁইয়া (নিঃ) বিষয়টি নিশ্চিত করে আমাদের এই প্রতিবেদককে বলেন, মেঘনা নদীর চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের রামপ্রসাদেরচর এলাকায় কে বা কাহারা ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিল। খবর পেয়ে আমাদের ফাঁড়ির ইনচার্জ আজামগীর হোসাইন স্যারের নির্দেশনায় আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গেলে তারা টের পেয়ে কতিপয় ব্যক্তিরা ড্রেজার রেখে পালিয়ে যায়। পরে ড্রেজারটি স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসলে এএসআই শেখ মোহাম্মদ মইন উদ্দিন (নিঃ) বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ১৫ (১) তৎসহ পেনাল কোড ১৮৬০ ধারায় বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে এজাহার দাখিল করেন। ঠিক একই সময় ওই এলাকা থেকে ১টি কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়, যাহার বর্তমান বাজার মূল্য ৬ হাজার টাকা। তিনি আরও বলেন- মামলার আলামত ফাঁড়ির হেফাজতে আছে এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে উদ্ধারকৃত অবৈধ কারেন্ট জালটি আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এ বিষয়ে চালিভাঙ্গা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আজামগীর হোসাইন দৈনিক স্বপ্নের বাংলাদেশ পএিকায় কে বলেন, নৌপথে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ অনিয়ম ও দূর্নীতি বন্ধ করাই আমার লক্ষ্য। ইতিমধ্যে আমি নদীপথে আমার ফোর্স নিয়ে নৌ টহল জোরদার করেছি। নৌপথে কোন ধরনের চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন বা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলতে দেওয়া হবে না। তবে আমার অধীনস্থ এলাকায় নদীপথের কোথাও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার সংবাদ পেলে আমরা অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারপূর্বক সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এমনকি ভবিষ্যতে নৌপথে কোনো ধরনের অপরাধ হতে দিবেনা বলেও জানান তিনি।