Dhaka 9:04 am, Tuesday, 24 December 2024
বেকিং নিউজ :
Logo গোদাগাড়ীতে রাত হলেই শুরু হয় পুকুর খননের মহাউৎসব,নিরব ভূমিকায় প্রশাসন Logo ময়মনসিংহে সরকারী দপ্তর থেকে বিদেশি পিস্তলসহ বিপুল অস্ত্র-মাদক উদ্ধার করেছে পুলিশ Logo রাজশাহী জেলা কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত-সভাপতি আসাদ-সম্পাদক আখতার Logo লালমোহন টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ফল প্রকাশ ও অভিভাবক সমাবেশ Logo বাউফলে ফ্লিম্মি ষ্টাইলে ধান ও মাছ লুটের অভিযোগ Logo বড়াইগ্রামে ছাত্রদলের আয়োজনে দুস্থদের মাঝে শীত বস্ত্র কম্বল উপহার Logo যশোরের শার্শায় বেনাপোল-শার্শা সীমান্তে ৩ মরদেহ, জানা যায়নি মৃত্যুর কারণ Logo তথ্যমেলায় মুজিববর্ষের লিফলেট ও শেখ হাসিনার বাণী প্রচার Logo বরুড়ার আড্ডায় গোবিন্দপুর মা আমেনা হাফেজিয়া মাদ্রাসা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান Logo বেনাপোলে ওলামা মাশায়েখদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বৈধ প্রক্রিয়ায় জমি ক্রয় করে বিপাকে চিকিৎসক

রাজশাহীতে বৈধ প্রক্রিয়া জমি ক্রয় করে বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসক নুরুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হক। জমিটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ১৪ তারিখে বায়নামা রেজিস্ট্রি শেষে ২০২২ সালের ৮ই জুন রেজিস্ট্রি, ওই বছর ২৭ সেপ্টেম্বর খারিজ ও ১২ মার্চ ২০২৩ ইং সালে আরডিএ’র অনুমোদন নেওয়া হয়। বায়না রেজিস্ট্রি শেষে ৬ মাস জমিটিতে সাইন বোর্ড দেওয়া হয়। জমিটি রাজশাহী মহানগরীর লক্ষীপুর-৭ মোজার খতিয়ান নং ৭৪৯১। ৪.৫৩৯০০ শতাংশের দাগ নং ২৪১৩/২৪৬৫ খাজনা খারিজ শেষে যখন বাড়ী করা প্রায় শেষের দিকে তখন একটি কুচক্রী মহল তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডার ছড়িয়ে মানহানি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে কুচক্রী মহল মামলা, হামলাসহ মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডার ছড়িয়ে নগরজুড়ে পোস্টার লাগিয়ে চিকিৎসকদের হেওপ্রতিপন্ন করছেন।

চিকিৎসকরা বলেন, জমিটির পাশেই ২৪১৩ দাগের মালিক পক্ষ ২৪১৩/২৪৬৫ দাগের এসে জমি সংক্রান্ত বিবাদ সৃষ্টি করছেন। আদৌও তাদের ২৪১৩/২৪৬৫ দাগে কোনো সম্পত্তি নাই। শুধুমাত্র হয়রানির লক্ষে একজন মানুষ নানা ষড়যন্ত্র লিপ্ত হয়েছেন। এমন ঘটনায় আমরা চিকিৎসকরা চরম বিব্রত। বক্ষব্যাধি হাসপাতালে দাবিকৃত জায়গার দাগের সঙ্গে আমাদের জায়গার দাগের কোন মিল নেই। প্রোপাগাণ্ডা ও মিথ্যাচার করে ছড়িয়ে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি। জমি ক্রয় থেকে শুরু করে চক্রটি কোনো বাঁধা না দিলেও বাড়ী তৈরি করার শেষে এসে কেনো বাঁধা সৃষ্টি করছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।
আদালতে পেশকৃত একটি তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, আরএস নক্সা ও সরেজমিনে মাপজোক করে আরএস ২৪১৩ দাগের পরিমান. ১৬ একর এবং আরএস ২৪১৩/২৪৬৫ দাগের পরিমান. ১৬ একর পাওয়া যায়। আরএস ২৪১৩ নং দাগের এবং ২৪১৩/২৪৬৫ দাগের অবস্থান চৌহদ্দি’ আলাদা আলাদা। ২৪১৩/২৪৬৫ দাগের মধ্যে ২৪১৩ দাগের কোন সম্পত্তি নেই।
জানা গেছে, চিকিৎসক নুরুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হকসহ আরও কয়েকজন চিকিৎসক মিলে উক্ত জায়গাটি ক্রয় করেন তাঁরা। ক্রয়ের পর থেকে সাইনবোর্ড দেওয়া পাইলিং করাসহ অন্যান্য কাজের আগেও কেউ ওই জমির মালিক বা অংশিদার দাবি না করলেও বাড়ী তৈরির ৮০ শতাংশ হওয়ার পর একটি মহল শুধুমাত্র হয়রানির লক্ষ্যে বাঁধা সৃষ্টি করছেন। খাজনা- খারিজসহ সরকারি দপ্তরে সকল কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর কেনো তারা এমন অভিযোগ তুলছেন তা তাঁদের বোধগম্য নয়। বিষয়টি নিয়ে মামলা চলার পরও শুধুমাত্র সম্মানহানির লক্ষ্যে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী জমির বিষয়টিকে ভিন্নখাতে নেওয়ার অপচেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। চক্রটি আইনি লড়াইয়ে কোনো সুবিধা না করতে পেরে এখন রাজনৈতিক অন্য ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে সারা শহর মিথ্যাচার করে পোস্টার লাগিয়ে বেড়াচ্ছেন।
উল্লেখ্য, একই জমি টিভি হাসপাতালও নিজেদের দাবি করছেন।কিন্তু দাবির স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র ডাক্তার মোজাম্মেল ও ডাক্তার নুরুল ইসলামকে দেওয়া হয়নি। পক্ষান্তরে ডাক্তারদের রেজিস্ট্রি দলিল, খারিজ-খাজনা, আরডি এর অনুমোদন এবং দখল সবই আপডেটেড আছে।
কথা বললে চিকিৎসক নুরুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হক বলেন, জমি ক্রয়ের পর থেকে কোনো সমস্যা না থাকলেও সম্প্রতি বাড়ি তৈরির শেষে এসে একটি মহল হয়রানি করছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা আইনিভাবে লড়াই করছি। তবুও তারা বিষয়টি নিয়ে আমাদের সম্মানহানির চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন।
কথা বলতে টিভি হাসপাতাল কতৃপক্ষকে ফোন দেওয়া হলে তাঁরা ফোন রিসিভ করেননি। তাই তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানো ব্যক্তি মো: মাফিজুল ইসলাম মুন্নাকে ফোন দেওয়া হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি। তাই তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Write Your Comment

About Author Information

জনপ্রিয়

গোদাগাড়ীতে রাত হলেই শুরু হয় পুকুর খননের মহাউৎসব,নিরব ভূমিকায় প্রশাসন

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

বৈধ প্রক্রিয়ায় জমি ক্রয় করে বিপাকে চিকিৎসক

আপলোড সময় : 02:31:13 pm, Sunday, 27 October 2024

রাজশাহীতে বৈধ প্রক্রিয়া জমি ক্রয় করে বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসক নুরুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হক। জমিটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ১৪ তারিখে বায়নামা রেজিস্ট্রি শেষে ২০২২ সালের ৮ই জুন রেজিস্ট্রি, ওই বছর ২৭ সেপ্টেম্বর খারিজ ও ১২ মার্চ ২০২৩ ইং সালে আরডিএ’র অনুমোদন নেওয়া হয়। বায়না রেজিস্ট্রি শেষে ৬ মাস জমিটিতে সাইন বোর্ড দেওয়া হয়। জমিটি রাজশাহী মহানগরীর লক্ষীপুর-৭ মোজার খতিয়ান নং ৭৪৯১। ৪.৫৩৯০০ শতাংশের দাগ নং ২৪১৩/২৪৬৫ খাজনা খারিজ শেষে যখন বাড়ী করা প্রায় শেষের দিকে তখন একটি কুচক্রী মহল তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডার ছড়িয়ে মানহানি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে কুচক্রী মহল মামলা, হামলাসহ মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডার ছড়িয়ে নগরজুড়ে পোস্টার লাগিয়ে চিকিৎসকদের হেওপ্রতিপন্ন করছেন।

চিকিৎসকরা বলেন, জমিটির পাশেই ২৪১৩ দাগের মালিক পক্ষ ২৪১৩/২৪৬৫ দাগের এসে জমি সংক্রান্ত বিবাদ সৃষ্টি করছেন। আদৌও তাদের ২৪১৩/২৪৬৫ দাগে কোনো সম্পত্তি নাই। শুধুমাত্র হয়রানির লক্ষে একজন মানুষ নানা ষড়যন্ত্র লিপ্ত হয়েছেন। এমন ঘটনায় আমরা চিকিৎসকরা চরম বিব্রত। বক্ষব্যাধি হাসপাতালে দাবিকৃত জায়গার দাগের সঙ্গে আমাদের জায়গার দাগের কোন মিল নেই। প্রোপাগাণ্ডা ও মিথ্যাচার করে ছড়িয়ে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি। জমি ক্রয় থেকে শুরু করে চক্রটি কোনো বাঁধা না দিলেও বাড়ী তৈরি করার শেষে এসে কেনো বাঁধা সৃষ্টি করছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।
আদালতে পেশকৃত একটি তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, আরএস নক্সা ও সরেজমিনে মাপজোক করে আরএস ২৪১৩ দাগের পরিমান. ১৬ একর এবং আরএস ২৪১৩/২৪৬৫ দাগের পরিমান. ১৬ একর পাওয়া যায়। আরএস ২৪১৩ নং দাগের এবং ২৪১৩/২৪৬৫ দাগের অবস্থান চৌহদ্দি’ আলাদা আলাদা। ২৪১৩/২৪৬৫ দাগের মধ্যে ২৪১৩ দাগের কোন সম্পত্তি নেই।
জানা গেছে, চিকিৎসক নুরুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হকসহ আরও কয়েকজন চিকিৎসক মিলে উক্ত জায়গাটি ক্রয় করেন তাঁরা। ক্রয়ের পর থেকে সাইনবোর্ড দেওয়া পাইলিং করাসহ অন্যান্য কাজের আগেও কেউ ওই জমির মালিক বা অংশিদার দাবি না করলেও বাড়ী তৈরির ৮০ শতাংশ হওয়ার পর একটি মহল শুধুমাত্র হয়রানির লক্ষ্যে বাঁধা সৃষ্টি করছেন। খাজনা- খারিজসহ সরকারি দপ্তরে সকল কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর কেনো তারা এমন অভিযোগ তুলছেন তা তাঁদের বোধগম্য নয়। বিষয়টি নিয়ে মামলা চলার পরও শুধুমাত্র সম্মানহানির লক্ষ্যে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী জমির বিষয়টিকে ভিন্নখাতে নেওয়ার অপচেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। চক্রটি আইনি লড়াইয়ে কোনো সুবিধা না করতে পেরে এখন রাজনৈতিক অন্য ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে সারা শহর মিথ্যাচার করে পোস্টার লাগিয়ে বেড়াচ্ছেন।
উল্লেখ্য, একই জমি টিভি হাসপাতালও নিজেদের দাবি করছেন।কিন্তু দাবির স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র ডাক্তার মোজাম্মেল ও ডাক্তার নুরুল ইসলামকে দেওয়া হয়নি। পক্ষান্তরে ডাক্তারদের রেজিস্ট্রি দলিল, খারিজ-খাজনা, আরডি এর অনুমোদন এবং দখল সবই আপডেটেড আছে।
কথা বললে চিকিৎসক নুরুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হক বলেন, জমি ক্রয়ের পর থেকে কোনো সমস্যা না থাকলেও সম্প্রতি বাড়ি তৈরির শেষে এসে একটি মহল হয়রানি করছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা আইনিভাবে লড়াই করছি। তবুও তারা বিষয়টি নিয়ে আমাদের সম্মানহানির চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন।
কথা বলতে টিভি হাসপাতাল কতৃপক্ষকে ফোন দেওয়া হলে তাঁরা ফোন রিসিভ করেননি। তাই তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানো ব্যক্তি মো: মাফিজুল ইসলাম মুন্নাকে ফোন দেওয়া হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি। তাই তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।