কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বামনকোলা-গাড়ীষাপাড়া বিলের দেড় থেকে দুই হাজার বিঘার ধানক্ষেত। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতায় শিষ বের হওয়া ধান গাছে ধরেছে পচন। পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
জলাবদ্ধতা নিরসনে ওই বিল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা প্রশাসন। পানি নিষ্কাশনের সব পথ বন্ধ হওয়ায় অস্থায়ীভাবে নালা কেটে এক বিলের পানি অপর বিল দিয়ে বের করার উদ্যোগ নিলে বাধা দেয় এলাকাবাসী। সুরাহা না হওয়ায় এখনো জলাবদ্ধতায় বামনকোলা-গাড়িষাপাড়া বিলের দেড় থেকে দুই হাজার বিঘার ধানক্ষেত। ফলে স্থায়ী জলাবদ্ধতার শঙ্কায় বিলের ধান নিয়ে অনিশ্চিতায় পড়েছেন কৃষকরা।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, টানা বৃষ্টিতে বামনকোলা-গাড়িষাপাড়া বিলে হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে দেড় থেকে দুই হাজার বিঘার জমির ধান পানির নিচে। বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে কালভার্ট করা হলেও এর শুধু চিহ্ন দেখা যায়। উভয় বিলে দুই পাশে রাস্তা সংলগ্ন অনেকে করেছেন বাড়ি। অপরদিকে পুরাতন বামনকোলা গ্রামে নতুন পশ্চিম পাড়া নজরুলের বাড়ির কাছে বিলের পানি গড়ানোর মেইন কালভার্ট থাকলে দখলে সেটাও বন্ধ দেখা যায়।
বামনকোলা-গাড়িষাপাড়া বিলের কৃষকরা জানান, বামনকোলা-গাড়িষাপাড়া বিলে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার বিঘা কৃষি জমি রয়েছে। আগে এই বিলে দুই ফসল হতো। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন এক ফসল হয়। কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতায় জমির সে ফসলও নষ্ট হয়ে যায়। গত ১৫ বছর ধরে এমন ভোগান্তি ভোগ করে আসছেন তারা। বিগত সরকারের আমলে বার বার প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে অবগত করলে তারা আশ্বাস দিলে বাস্তবে দেখা যায় না কোনো উদ্যোগ।
বামনকোলা-মশিন্দা বিলের কৃষকরা জানান, বামনকোলা-গাড়িষাপাড়া বিলের পানি নিষ্কাশন মেইন কালভার্ট চান উন্মুক্ত। এ কালভার্ট উন্মুক্ত হলে বামনকোলা-গাড়িষাপাড়া বিলে আর কোনো জলাবদ্ধতা হবে না। নয়তো বামনকোলা-গাড়িষাপাড়া বিলের পানি বামনকোলা-মশিন্দা বিল দিয়ে গড়ানো হলে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় এ বিলেও কোনো ফসল হবে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশীদ বলেন, বেশি দিন ধানক্ষেত জলাবদ্ধতায় থাকলে ফলন কম হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা আক্তার বলেন, কয়েকদিন টানা বৃষ্টিতে বামনকোলা-গাড়ীষাপাড়া বিলে ধান খেতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনের পর কৃষকদের সঙ্গে পরামর্শ সাপেক্ষে স্থায়ী সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রকাশক : মাসুদ রানা সুইট । সম্পাদক : আবুল হাসনাত অমি । নগর সম্পাদক : ইফতেখার আলম বিশাল নির্বাহী সম্পাদক : রুবেল আহম্মেদ । মফস্বল সম্পাদক : মোস্তাফিজুর রহমান । ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নীলা সুলতানা । বার্তা সম্পাদক : -------------- । সহ-বার্তা সম্পাদক : আলিফ বিন রেজা । সহ-বার্তা সম্পাদক :
Copyright © 2024 Dainiksopnerbangladesh.com. All rights reserved.