বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার পল্লীতে বিয়ে বাড়ীতে নৃত্য পরিবেশন শেষে বাড়ী ফেরার পথে এক নৃত্যশিল্পী গণধর্ষনের শিকার হয়েছেন। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার ঘাটবিলা গ্রামে উপজেলা চেয়ারম্যানের পরিত্যাক্ত টিনসেড ঘরে এই গণধর্ষনের ঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচ ধর্ষককে গ্রেফাতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের বাড়ী বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার সরসপুর ও কাহালপুর গ্রামে। গণধর্ষনের শিকার নৃত্যশিল্পীর ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য শনিবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিক করে জানান, বাগেরহাটের ১৯ বছর বয়সি নৃত্যশিল্পী (আসমা খাতুন জান্নাতী) বর্তমানে জেলার ফকিরহাট উপজেলা সদরে স্বামী জাহিদ মোল্লা ও দেড় বছরের শিশুকে নিয়ে বসবাস করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই নৃত্যশিল্পী ফকিরহাট থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় আমন্ত্রন পেয়ে ধর্ষক হৃদয়ের বোনের বিয়ে অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করতে মোল্লাহাট উপজেলার সরসপুর গ্রামে যায়। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন শেষে রাত ১২টার দিকে ধর্ষকরা নৃত্যশিল্পীকে ফকিরহাটে পৌছে দেয়ার কথা বলে কৌশলে তার স্বামী ও নৃত্যশিল্পীকে আলাদা-আলাদা মোটরসাইকেলে তুলে রওনা দেয়। পথিমধ্যে উপজেলার ঘাটবিলা গ্রামে মোল্লাহাট উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুল আলম সানার পরিত্যাক্ত টিনসেড ঘরে নিয়ে ৮ ধর্ষক মিলে প্রায় এক ঘন্টা ধরে নৃত্যশিল্পীকে গণধর্ষন করে।
পরে কারা ধর্ষিতা ও তার স্বামীকে মোটরসাইকেল যোগে এগিয়ে দিতে থাকলে টহল পুলিশ তাদের থামতে বলে। এসময়ে নৃত্যশিল্পী গণধর্ষন বিষয়টি জানালে চার ধর্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করে। সকালে নৃত্যশিল্পী গণধর্ষনের ঘটনায় ৮ ধর্ষকের নামে মোল্লাহাট থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে আরো এক ধর্ষককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত পাঁচ ধর্ষক আরমান শেখ (১৯), রাজিব শেখ (১৯), সোহাগ (১৮), নাসির মোল্লা (১৯), ও করিমের (২২) বাড়ী বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার সরসপুর ও কাহালপুর গ্রামে। গণধর্ষনের শিকার নৃত্যশিল্পীর ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য শনিবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত পাঁচ ধর্ষককে বিকালে বাগেরহাট আদালতে পাঠনো হয়েছে। অন্য তিন ধর্ষককে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।