বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সফলতা সরকার পরিবর্তনের পরে বাউফলে স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ প্রধানের পদ ত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ, মিছিল এবং ম্মারক প্রদানের হিড়িক পড়েছে। উপজেলার সদরসহ পার্শবর্তী এলাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উঠেপেড়ে লেগেছে। দেড়যুগ ধরে আওয়ামীলীগ সরকারে স্থানীয় দলীয় নেতা কর্মী ক্ষমতা প্রয়োগ করে ক্ষমতায় থাকলে ৫ আগস্টের পরে আড়ালে থাকতে চেষ্টা করে।
এ মুহূর্তে প্রতিপক্ষ দল সমর্থন চেষ্টা করছে প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতায় থাকার জন্য। গত সেপ্টেম্বর পুরো মাস জুড়ে পূর্বে শক্রতা উদ্ধার, অনিয়ম, দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা তুলে ধরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিকটে ম্মারকলিপি প্রদান করে। গত দু সপ্তাহ ধরে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরোদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অভিযোগ করেছে। বাউফল উপজেলার কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসি শিরিনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ওই বিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ওই বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। এ সময় কয়েকশত শিক্ষার্থী ব্যানার ও বিভিন্ন ধরনের ফেস্টুন নিয়ে কালাইয়া বন্দর ঘুরে ৬ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে গিয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
এ সময় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাউফল সরকারী কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা ডিগ্রী কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। ফলে কয়েককটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শ্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে বাউফল পৌর এলাকা। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজি বরাবর একটি স্মরকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, উপজেলার কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসি শিরিন কোন নিয়ে নীতির তোয়াক্কা না করেই বিদ্যালয়েন মূল ফটকের পাশের দেয়াল ভেঙ্গে দোকান ঘর তৈরি করে সেগুলো ভাড়া দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের ছাদে ডিস লাইন স্থাপন করা হয়েছে। সেই লাইনে বিদ্যুতায়নের হয় গত বছর ১২ মে দশম শ্রেণির বিল্লাল হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার ঘটনায় কোনো বিচার পায়নি নিহত পরিবার। এছাড়ার তাঁর বিরুদ্ধে রযেছে জোরপূর্বক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়সহ বিদ্যালয়ের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ।