পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের দরিয়াবাদ গ্রামে মো. সোহাগ মৃধা (৩০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্থানীয় এমপি’র ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অন্যের প্রায় ৫০ শতাংশ জমি দখল করে নেয়াসহ জমির ধান ও গাছ কেটে নেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে জমি দখলে নেয় সোহাগ মৃধা। জমির প্রকৃত মালিক প্রতিবাদ করলে তাকে প্রাণ নাশের হুমকিও দেয় কথিত এমপির আত্মীয় সোহাগ।
এঘটনায় সম্প্রতি ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে মনিরুল ইসলাম বাদি হয়ে বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন। ভুক্তভোগী পরিবার জানান, কাছিপাড়া ইউনিয়নের দরিয়াবাদ গ্রামের মৃত আলী আকবরের ওয়ারিশরা ছত্রকান্দা মৌজায় ৫৫,৫৬,৫৭ ও ২৭৪ নম্বর খতিয়ানের একাধিক দাগে ৪৫০ শতাংশ ও কারখানা মৌজায় ২০ নম্বর খতিয়ানের একাধিক দাগে প্রায় ৫০০ শতাংশ জমির মালিক। যা তারা ভোগ করে আসছেন। একই এলাকার সোহাগ মৃধা আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতার প্রভাব ঘাটিয়ে দরিয়াবাদ গ্রামে তাদের প্রায় ৫০ শতাংশ জমির ধান কেটে নেয়। একই সাথে মাছের দল ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালাও কেটে নেন। তখন বাঁধা দিতে আসলে সোহাগ এমপির আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তাদের প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। মনিরুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী জানান, আমরা পৈত্রিক সূত্রে জমির প্রকৃত মালিক। সোহাগ মৃধার আমাদের কোনো ওয়ারিশ নয়। তিনি সাবেক এমপি আসম ফিরোজের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে আমাদের প্রায় ৫০ শতক জমি দখলে নিয়ে প্রায় শতাধিক মণ ধান ও লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে নিয়ে যায়। এবং আমাদের মাছের ঘের দখলে নেয়। আরেক ভুক্তভোগী মামুন বলেন, আমার পৈত্রিক জমিতে প্রায় ২৪ বছর আগে গাছ লাগাই। সেই গাছ গত বছর সোহাগ মৃধা কেটে নিয়ে যায়। এবং আমাদের জমির ধানও কেটে নিয়ে যান তিনি। সাবেক এমপির আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তিনি এমন অপকর্ম করেছেন; এখনও তিনি তার প্রভাব দেখাচ্ছেন। যার কারণে আমরা কোথাও ন্যায্য বিচার পাইনি। এবিষয়ে জানতে সোহাগ মৃধার বাড়িতে যাওয়া হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী শিরিন আক্তার চায়না বলেন, আমরাও কিছু জমির ওয়ারিশ সূত্রে মালিক। সাবেক এমপি আসম ফিরোজ আমাদের কোন আত্মিয় না। আমরা এলাকার নিরিহ মানুষ। প্রভাব বিস্তারের কথা সত্যি নয়। এবিষয়ে জানতে চাইলে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার শোনিত কুমার গায়েন বলেন,এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।