পটুয়াখালীর বাউফলে স্থানীয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতারা সমঝোতার মাধ্যমে উপজেলার সবচেয়ে বৃহত্তম বাজার কালাইয়া হাটের হাসিল আদায় করছেন ! বাংলা ১৪৩১ সালের জন্য মোট ১কোটি ৯৪ লাখ টাকায় কালাইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আসম ফিরোজ মোল্লার ভাতিজা ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লা কালাইয়া হাট ইজারা নেয়।
বৈশাখ থেকে শ্রাবন পর্যন্ত ৪ মাস মনির মোল্লা ওই হাটের হাসিল আদায় করেনে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগে সরকার পতনের পর হাটের ইজারাদার মনির মোল্লা আত্মগোপনে চলে যান। এরপর থেকে হাটের হাসিল আদায় নিয়ে নৈরাজ্যর সৃষ্টি হয়। উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে তার লোকজন ওই হাটের হাসিল আদায়ের চেষ্টা করলে উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাধা দেয়।
পিছু হটেন যুবদলের সাবেক ওই নেতা ও তার অনুসারিরা। পরে ফেসবুক লাইফে এসে হাটের ইজারাদার ফয়সাল আহমম্মেদ মনির মোল্লা কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন তুহিন ও দাশপাড়া বিএনপির সভাপতি আলী আজমের সহযোগিতা । একপর্যায়ে জারাদার মনির মোল্লা তাদের সাথে সমঝোতায় পৌঁছান। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়,হাটের ইজারাদার মনির মোল্লার কাছে সরকার ৩৭ লাখ ৪০ হাজার বকেয়া ছিল।
বিএনপি ওই দুই নেতা কেবল সরকারের ওই বকেয়া টাকা অগ্রণী ব্যাংক বাউফলের শাখায় পরিশোধ করেছেন। এরপর বিএনপির ওই দুই নেতার মাধ্যমে কালাইয়া হাটের হাসিল আদায় করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন তুহিন বলেন, হাটের ইজারা এখনও মনির মোল্লার নামেই রয়েছে। আমরা সমঝোতার ভিত্তিতে হাসিল আদায় করছি।
দাশপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আযম বলেন, বিএনপি উদারপন্থী রাজনৈতিক দল হিসাবে পরিচিত। ইজারাদার মনির মোল্লা হাটের হাসিল আদায়ের জন্য আমাদের সহযোগিতা চেয়েছেন। আমারা কেবল তাকে সহযোগিতা করছি। হাটের ইজারাদার তিনিই ছিলেন, তিনিই আছেন। এ ব্যাপারে হাটের ইজারাদার মনির মোল্লাকে তার মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।