পটুয়াখালীর বাউফলে স্বামীর ‘গোপনাঙ্গ’ কেটে পালিয়েছেন স্ত্রী। আহতকে প্রথমে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হলেও অবস্থা আংশকাজনক হওয়ায় গতকাল সোমবার সকালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার ১৩ অক্টোবর সকাল ৭টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধানদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত শাকিল হাওলাদার (২৫) ধানদী গ্রামের রফিক হাওলাদারের ছেলে ও স্ত্রী সাথী আক্তার (২২) একই ইউনিয়নের ছোট ডালিমা গ্রামের ইউনুস হাওলাদারের মেয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, এক বছর আগে পাবনা জেলার ইশ্বরদী পৌরসভার রশিদ শেখের পুত্র রাসেল রানার স্ত্রী সাথী আক্তারকে ভাগিয়ে এনে গোপনে দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস বিবাহ ছাড়া একই ঘরে সঙ্গোপনে বসবাস করে আসছিলেন। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে গত তিন মাস আগে স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে মেয়ের অভিভাবক ছাড়াই বিয়ে করান শাকিলের স্বজনরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ গ্রামের একজন বলেন, বিয়ের পর থেকে স্ত্রী বাপের বাড়ির থেকে কিছু আনতে পারেনি বলে তাদের দুইজনের মধ্যে বিভিন্ন সময় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে কয়েক দফায় স্থানীয়রা শালিস বৈঠকও করেছেন। ঘটনার দিন রাতেও দুই জনের মধ্যে ঝগড়া হয় এবং স্বামী শাকিল স্ত্রী সাথীকে বেধরক মারধর করেন। স্ত্রীকে তালাক দিবে বলেও বারবার হুমকি দেন স্বামী। ওই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে রবিবার সকাল ৭টার দিকে ধারালো ছুরি দিয়ে ঘুমন্ত স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন সাথী। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী করেন। এ বিষয়ে আহত শাকিল সাংবাদিকদের কাছে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। আর ঘটনার পর স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ায় তারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাতেমা আক্তার যুথি জানান, ধারালো ছুরি অথবা চাকু দিয়ে গোপনাঙ্গ কাটা হয়েছে। পুরোপুরি কেটে বিচ্ছিন্ন হয়নি; ৭০ শতাংশ কেটেছে। এবিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন,‘ এমন কোনো অভিযোগ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।