Dhaka 3:32 pm, Sunday, 22 December 2024

বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যা নিয়ে কঠোর বার্তা মমতার

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মানুষ হত্যা নিয়ে ফের বিএসএফের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বলেছেন, যদি কেউ অন্যায় করে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে বিএসএফ আইনানুগ ব্যবস্থা নিক, মামলা করুক, কিন্তু তা না করে কেন খুন করা হলো? এ হত্যার জন্য বিএসএফের বিরুদ্ধে কেন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না সেই প্রশ্নও তুলেছেন মমতা।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার কলকাতার ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে বিএসএফের তীব্র সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘বুধবার বাংলাদেশ থেকে আমাদের পুলিশের কাছে একটা অভিযোগ এসেছে। ইসকনের একজন শিক্ষিত পুরোহিত, তিনি বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। বিএসএফ নাকি তাকে অত্যাচার করে মেরে দিয়েছে।’

মমতার প্রশ্ন ‘এটা কি একটা খারাপ উদাহরণ নয়?’

 

‘বাংলাদেশ থেকে আমাদের কাছে আসা অভিযোগে বলা হয়েছে, তোমাদের ওখানে (পশ্চিমবঙ্গে) আমাদের লোককে খুন করা হয়েছে।’

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, আমাদের কেউ অন্যায় না করলেও ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) যদি অর্থ পাচারসংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার করে রেখে দেয়, তবে বিএসএফ যদি অন্য দেশের নাগরিকদের খুন করে, তবে তার বিরুদ্ধে কেন গ্রেফতারি হয় না? কেন তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে না? বিএসএফের যদি মনে হয় যে এটা বাংলাদেশি, তবে মামলা করতে পারত বা আইনানুগ ব্যবস্থা নিত। কিন্তু কাউকে মেরে দেওয়ার অধিকার তো তাদের নেই।

ঠিক কবে পুরোহিত হত্যার ঘটনা ঘটেছে বা সীমান্তের কোন অংশে এই ঘটনা ঘটেছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি মুখ্যমন্ত্রী।

লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতার মুখে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বিরুদ্ধে মমতার এই তোপ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিএসএফ নিয়ে মমতার অভিযোগ এবারই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বিএসএফের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। গ্রামে ঢুকে গ্রামবাসীর ওপর বিএসএফের অত্যাচারের অভিযোগও তুলেছিলেন। জানুয়ারি মাসে কোচবিহারের সভায় বক্তৃতাকালে সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের বিরুদ্ধে আলাদা করে পরিচয়পত্র ইস্যু করার অভিযোগ তুলে সাধারণ মানুষদের উদ্দেশে মমতা বলেছিলেন, বিএসএফ যদি পৃথক কোনো আইডেন্টিটি কার্ড দেয় তবে তা নেবেন না। ওই পরিচয়পত্র নিলে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-এর আওতায় পড়ে যেতে হবে বলেও জানিয়েছিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসএফের তরফ থেকে পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া হয়- বিএসএফ এমন কোনো পরিচয়পত্র ইস্যু করে না। বিএসএফ হলো ভারত-বাংলাদেশ এবং ভারত সীমান্ত এলাকার সুরক্ষা বাহিনী। তাদের সঙ্গে এনআরসির কোনো সম্পর্ক নেই।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যা নিয়ে কঠোর বার্তা মমতার

আপলোড সময় : 09:11:19 pm, Saturday, 9 March 2024

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মানুষ হত্যা নিয়ে ফের বিএসএফের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বলেছেন, যদি কেউ অন্যায় করে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে বিএসএফ আইনানুগ ব্যবস্থা নিক, মামলা করুক, কিন্তু তা না করে কেন খুন করা হলো? এ হত্যার জন্য বিএসএফের বিরুদ্ধে কেন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না সেই প্রশ্নও তুলেছেন মমতা।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার কলকাতার ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে বিএসএফের তীব্র সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘বুধবার বাংলাদেশ থেকে আমাদের পুলিশের কাছে একটা অভিযোগ এসেছে। ইসকনের একজন শিক্ষিত পুরোহিত, তিনি বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। বিএসএফ নাকি তাকে অত্যাচার করে মেরে দিয়েছে।’

মমতার প্রশ্ন ‘এটা কি একটা খারাপ উদাহরণ নয়?’

 

‘বাংলাদেশ থেকে আমাদের কাছে আসা অভিযোগে বলা হয়েছে, তোমাদের ওখানে (পশ্চিমবঙ্গে) আমাদের লোককে খুন করা হয়েছে।’

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, আমাদের কেউ অন্যায় না করলেও ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) যদি অর্থ পাচারসংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার করে রেখে দেয়, তবে বিএসএফ যদি অন্য দেশের নাগরিকদের খুন করে, তবে তার বিরুদ্ধে কেন গ্রেফতারি হয় না? কেন তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে না? বিএসএফের যদি মনে হয় যে এটা বাংলাদেশি, তবে মামলা করতে পারত বা আইনানুগ ব্যবস্থা নিত। কিন্তু কাউকে মেরে দেওয়ার অধিকার তো তাদের নেই।

ঠিক কবে পুরোহিত হত্যার ঘটনা ঘটেছে বা সীমান্তের কোন অংশে এই ঘটনা ঘটেছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি মুখ্যমন্ত্রী।

লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতার মুখে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বিরুদ্ধে মমতার এই তোপ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিএসএফ নিয়ে মমতার অভিযোগ এবারই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বিএসএফের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। গ্রামে ঢুকে গ্রামবাসীর ওপর বিএসএফের অত্যাচারের অভিযোগও তুলেছিলেন। জানুয়ারি মাসে কোচবিহারের সভায় বক্তৃতাকালে সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের বিরুদ্ধে আলাদা করে পরিচয়পত্র ইস্যু করার অভিযোগ তুলে সাধারণ মানুষদের উদ্দেশে মমতা বলেছিলেন, বিএসএফ যদি পৃথক কোনো আইডেন্টিটি কার্ড দেয় তবে তা নেবেন না। ওই পরিচয়পত্র নিলে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-এর আওতায় পড়ে যেতে হবে বলেও জানিয়েছিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসএফের তরফ থেকে পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া হয়- বিএসএফ এমন কোনো পরিচয়পত্র ইস্যু করে না। বিএসএফ হলো ভারত-বাংলাদেশ এবং ভারত সীমান্ত এলাকার সুরক্ষা বাহিনী। তাদের সঙ্গে এনআরসির কোনো সম্পর্ক নেই।