Dhaka 12:03 am, Monday, 23 December 2024

বড়াইগ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত

নাটোরের বড়াইগ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ মোট ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় চান্দাই ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতির বাড়িসহ ৯টি বাড়ি, পাঁচটি মোটর সাইকেল এবং ২৬ টি দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। রোববার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের দাসগ্রাম বাজার ও রাজেন্দ্রপুর কুদুর মোড়ে এসব ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা বিএনপি।

এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধরা হলেন- বিএনপি কর্মী রাজেন্দ্রপুর গ্রামের শহীদুল ইসলাম মালিথা (৩৮), সাগর আলী (২০), মামুন হোসেন (২১), জাহিদ আলী (১৮) ও মশিউর রহমান (২৮), দাসগ্রামের রবিউল করিম (৩৯)। এছাড়া সংঘর্ষে দাসগ্রামের মেহেদী হাসান (২৮), শাহ আজিজ (৪০), লিটন (৩৮) ও আওয়ামীলীগ কর্মী শাহিন মালিথা (৬০) আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে শহীদুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অন্যদের বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন কলে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল টিপু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত ইউনিয়ন কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। রোববার সন্ধ্যায় চান্দাই ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল টিপুর অনুসারীরা দাসগ্রাম বাজারে সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের অফিস ভাংচুর করে। পরে খবর পেয়ে হাবিবুর রহমান শতাধিক লোক নিয়ে বাজারে এসে গুলি চালানোসহ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে টিপুর লোকজন পালিয়ে যায়। পরে হাবিবুরের অনুসারীরা দাসগ্রাম বাজার ও রাজেন্দ্রপুর কুদুর মোড়ে মোট ২৬ টি দোকানসহ আব্দুল আউয়াল টিপু, সাইদুল ইসলাম, সালেক আলী, মৃদুল, ইউনুস আলী, আনিসুর রহমান, আব্দুল হান্নান, নুর নবী, খায়রুল ইসলাম এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জহুরুল মালিথার বাড়ি ঘরে ভাংচুর করে। এ সময় হামলাকারীরা দোকানপাট ও বাড়িঘরে ব্যাপক লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।

তবে সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আব্দুল আউয়াল টিপু আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বিকালে বিনা উস্কানীতে দাসগ্রাম বাজারে আমার দোকান ঘর ও অফিস এবং যুবদলের কার্যালয় ভাংচুর করে। পরে খবর পেয়ে আমার সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে সেখানে গেলে তারা পালিয়ে যায়।

এ সময় সেখানে কিছু ঘটনা ঘটলেও গোলাগুলি ও লুটপাটের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান বলেন,আহতদের মধ্যে দুজনের শরীর থেকে অপারেশন করে গুলি বের করা হয়েছে। অপর চারজনের শরীরে রাবার বুলেটের আঘাতের চিহৃ রয়েছে।বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউল আযম খান বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমজিআরএ

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

বড়াইগ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত

আপলোড সময় : 07:31:54 pm, Tuesday, 10 September 2024

নাটোরের বড়াইগ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ মোট ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় চান্দাই ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতির বাড়িসহ ৯টি বাড়ি, পাঁচটি মোটর সাইকেল এবং ২৬ টি দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। রোববার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের দাসগ্রাম বাজার ও রাজেন্দ্রপুর কুদুর মোড়ে এসব ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা বিএনপি।

এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধরা হলেন- বিএনপি কর্মী রাজেন্দ্রপুর গ্রামের শহীদুল ইসলাম মালিথা (৩৮), সাগর আলী (২০), মামুন হোসেন (২১), জাহিদ আলী (১৮) ও মশিউর রহমান (২৮), দাসগ্রামের রবিউল করিম (৩৯)। এছাড়া সংঘর্ষে দাসগ্রামের মেহেদী হাসান (২৮), শাহ আজিজ (৪০), লিটন (৩৮) ও আওয়ামীলীগ কর্মী শাহিন মালিথা (৬০) আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে শহীদুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অন্যদের বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন কলে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল টিপু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত ইউনিয়ন কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। রোববার সন্ধ্যায় চান্দাই ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল টিপুর অনুসারীরা দাসগ্রাম বাজারে সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের অফিস ভাংচুর করে। পরে খবর পেয়ে হাবিবুর রহমান শতাধিক লোক নিয়ে বাজারে এসে গুলি চালানোসহ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে টিপুর লোকজন পালিয়ে যায়। পরে হাবিবুরের অনুসারীরা দাসগ্রাম বাজার ও রাজেন্দ্রপুর কুদুর মোড়ে মোট ২৬ টি দোকানসহ আব্দুল আউয়াল টিপু, সাইদুল ইসলাম, সালেক আলী, মৃদুল, ইউনুস আলী, আনিসুর রহমান, আব্দুল হান্নান, নুর নবী, খায়রুল ইসলাম এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জহুরুল মালিথার বাড়ি ঘরে ভাংচুর করে। এ সময় হামলাকারীরা দোকানপাট ও বাড়িঘরে ব্যাপক লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।

তবে সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আব্দুল আউয়াল টিপু আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বিকালে বিনা উস্কানীতে দাসগ্রাম বাজারে আমার দোকান ঘর ও অফিস এবং যুবদলের কার্যালয় ভাংচুর করে। পরে খবর পেয়ে আমার সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে সেখানে গেলে তারা পালিয়ে যায়।

এ সময় সেখানে কিছু ঘটনা ঘটলেও গোলাগুলি ও লুটপাটের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান বলেন,আহতদের মধ্যে দুজনের শরীর থেকে অপারেশন করে গুলি বের করা হয়েছে। অপর চারজনের শরীরে রাবার বুলেটের আঘাতের চিহৃ রয়েছে।বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউল আযম খান বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমজিআরএ