নাটোরের বড়াইগ্রামের লক্ষ্মীকোলে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য চালু করা হয়েছে জনতার বাজার। এ বাজার থেকে সব ধরণের সব্জি কম মূল্যে কিনতে পারবেন নিম্ন আয়ের মানুষ। সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার দুই দিন এ বাজার চালু থাকবে। ন্যায্য মূল্যে কৃষকের মাঠ থেকে তরতাজা সব্জি সরাসরি ভোক্তার হাতে পৌঁছাতে উপজেলা প্রশাসন, বড়াইগ্রাম পৌরসভা ও নাটোর স্বার্থ রক্ষা কমিটির উদ্যোগে ‘জনতার বাজার’ নামে এ সব্জির বাজার চালু করা হয়েছে। রোভার স্কাউট সদস্যরা জনতার বাজারে কেনাবেচায় সহায়তা করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বড়াইগ্রাম পৌর মার্কেটের সামনে অস্থায়ীভাবে এই বাজারের উদ্বোধন করেন ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস। এ সময় পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান ও যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আলী গাজী, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান বিপুল, নাটোর স্বার্থ রক্ষা কমিটির বড়াইগ্রাম উপজেলা আহ্বায়ক সাজেদুল বাশার এবং যুগ্ম আহ্বায়ক জান্নাতুল ফেরদৌস মাহী,সাজেদুল বাশার সালাহ উদ্দিন, ইউসুফ আলী (অনিক) সুমন হোসেন, সোহান উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী দিনে আলু, পেঁয়াজ, ফুলকপি, বাধাকপি ও ডিমসহ বিভিন্ন সবজি বাজার থেকে কম মূল্যে বিক্রি করা হয়। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করা হয় ১১৫ টাকায়, আলু বিক্রি করা হয় ৭০ টাকা, ফুলকপি ৪৫ টাকা, বাধাকপি ৩৫ টাকা কেজি দরে এবং ডিম প্রতি পিছ ১২ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। সব ধরনের সব্জি কেজি প্রতি প্রচলিত বাজারের তুলনায় ১০-২০ টাকা কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
এ বাজারে কম দামে সবজি কিনে খুশি ক্রেতারা। তবে তাদের দাবি সব্জির পাশাপাশি অন্যান্য সামগ্রীও বিক্রি করা হোক।
সব্জি কিনতে আসা ক্রেতা মখলেছ গাজী বলেন, এ বাজার চালু করায় আমরা খুশি।
প্রথমদিনেই এসে দেখছি সব সব্জি কম মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে পেঁয়াজ ১২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, এখান থেকে ১১৫ টাকা কেজি দরে কিনেছি। এছাড়া আলু কিনেছি ৭০ টাকা কেজি দরে। অপর ক্রেতা আসমত উল্লাহ বলেন, সবজির পাশাপাশি এ বাজারে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রি করলে আমরা আরো উপকৃত হতাম। আয়োজকদের কাছে দাবি জানাই সবজির পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য যাতে বিক্রি করেন তারা।