Dhaka 12:07 pm, Sunday, 22 December 2024

বড়াইগ্রামে এক রাতে ১১ মিটার চুরি : ফেরত পেতে চিরকুটে টাকা দাবি

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় এক রাতে ছয়টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরির পর মোবাইল নাম্বর রেখে তাতে টাকা পাঠাতে বলেছে সংঘবদ্ধ চোর চক্র। গত সোমবার রাতে উপজেলার গোপালপুর, কুন্ডুপাড়া, লক্ষ্মীকোল ও রয়না ভরট এলাকা থেকে এসব চুরির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ৮টি মিটার গভীর নলকূপের, দুটি চালকলের ও একটি কাঠমিলের।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে ঝড়সহ ব্যাপক শিলাবৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল।
এ সুযোগে নগর ইউনিয়নের কুন্ডুপাড়া গ্রামের ফরিদুল ইসলাম মেম্বার ও গোপালপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের চালকল, বড়াইগ্রাম পৌরসভার লক্ষ্মীকোল বাজার সংলগ্ন রাশিদুল ইসলাম রাশিদের কাঠমিল, বাজিতপুর গ্রামের রিপন হোসেনের গভীর নলকুপসহ মোট ১১ জনের বাণিজ্যিক মিটার চুরি হয়। চোর চক্র মিটারগুলো চুরির পর চিরকুটে একটি নম্বর রেখে যায়। মিটারের গ্রাহকেরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে তাদের কাছে প্রতিটি মিটার ফেরৎ দিতে ৮ হাজার টাকা করে দাবি করে। এ টাকা ওই নাম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে। যদি টাকা না দিয়ে মিটার লাগায়, তাহলে আবার মিটার চুরি হবে বলে মোবাইলে হুমকিও দেয় চোর চক্রের সদস্যরা।
ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষ থেকে থানায় মিটার চুরির ঘটনাটি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।

লক্ষ্মীকোল এলাকার কাঠ মিল মালিক রাশিদুল ইসলাম রাশিদ বলেন, গভীর রাতে মিটার চুরি করে নিয়ে গেছে। মিটারের স্থানে একটি চিরকুট লিখে তাতে মোবাইল নম্বর লিখে রেখে গেছে। চিরকুটে লেখা মোবাইল নম্বরে ৮ হাজার টাকা পাঠাতে বলা হয়। ওই নম্বরে কথা বলেছি। টাকা না দিয়ে মিটার লাগালে পুনরায় মিটার চুরি করবে বলে হুমকি দিয়েছে।

পরে চোরের সঙ্গে দরদাম করে তাদের চাহিদামত টাকা বিকাশ করেছি। এরপর তারা দুই কিলোমিটার দুরে রাস্তার পাশের একটি বনের ঝোপের মধ্যে রাখা আছে বলে জানালে সেখান থেকে মিটার নিয়ে এসেছি।
বাজিতপুর গ্রামের রিপন হোসেন জানান, এ নিয়ে মোট তিনবার আমার মিটার একই কায়দায় চুরি হলো। এবারও চোরের দেয়া নম্বরে কল দিলে টাকা চেয়েছে। বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে মিটার নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাফিউল আজম খান বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে চোর শনাক্ত করাসহ মিটার উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

বড়াইগ্রামে এক রাতে ১১ মিটার চুরি : ফেরত পেতে চিরকুটে টাকা দাবি

আপলোড সময় : 10:11:32 pm, Tuesday, 26 March 2024

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় এক রাতে ছয়টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরির পর মোবাইল নাম্বর রেখে তাতে টাকা পাঠাতে বলেছে সংঘবদ্ধ চোর চক্র। গত সোমবার রাতে উপজেলার গোপালপুর, কুন্ডুপাড়া, লক্ষ্মীকোল ও রয়না ভরট এলাকা থেকে এসব চুরির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ৮টি মিটার গভীর নলকূপের, দুটি চালকলের ও একটি কাঠমিলের।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে ঝড়সহ ব্যাপক শিলাবৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল।
এ সুযোগে নগর ইউনিয়নের কুন্ডুপাড়া গ্রামের ফরিদুল ইসলাম মেম্বার ও গোপালপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের চালকল, বড়াইগ্রাম পৌরসভার লক্ষ্মীকোল বাজার সংলগ্ন রাশিদুল ইসলাম রাশিদের কাঠমিল, বাজিতপুর গ্রামের রিপন হোসেনের গভীর নলকুপসহ মোট ১১ জনের বাণিজ্যিক মিটার চুরি হয়। চোর চক্র মিটারগুলো চুরির পর চিরকুটে একটি নম্বর রেখে যায়। মিটারের গ্রাহকেরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে তাদের কাছে প্রতিটি মিটার ফেরৎ দিতে ৮ হাজার টাকা করে দাবি করে। এ টাকা ওই নাম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে। যদি টাকা না দিয়ে মিটার লাগায়, তাহলে আবার মিটার চুরি হবে বলে মোবাইলে হুমকিও দেয় চোর চক্রের সদস্যরা।
ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষ থেকে থানায় মিটার চুরির ঘটনাটি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।

লক্ষ্মীকোল এলাকার কাঠ মিল মালিক রাশিদুল ইসলাম রাশিদ বলেন, গভীর রাতে মিটার চুরি করে নিয়ে গেছে। মিটারের স্থানে একটি চিরকুট লিখে তাতে মোবাইল নম্বর লিখে রেখে গেছে। চিরকুটে লেখা মোবাইল নম্বরে ৮ হাজার টাকা পাঠাতে বলা হয়। ওই নম্বরে কথা বলেছি। টাকা না দিয়ে মিটার লাগালে পুনরায় মিটার চুরি করবে বলে হুমকি দিয়েছে।

পরে চোরের সঙ্গে দরদাম করে তাদের চাহিদামত টাকা বিকাশ করেছি। এরপর তারা দুই কিলোমিটার দুরে রাস্তার পাশের একটি বনের ঝোপের মধ্যে রাখা আছে বলে জানালে সেখান থেকে মিটার নিয়ে এসেছি।
বাজিতপুর গ্রামের রিপন হোসেন জানান, এ নিয়ে মোট তিনবার আমার মিটার একই কায়দায় চুরি হলো। এবারও চোরের দেয়া নম্বরে কল দিলে টাকা চেয়েছে। বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে মিটার নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাফিউল আজম খান বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে চোর শনাক্ত করাসহ মিটার উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।