লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, জীবিকার তাগিদে ২০০৮ সালে রুহুল আমিন ডুবাই চলে যান। এরপর ২০২৪ সালে দেশে ফিরে আসেন। প্রবাসে থাকার সময় মায়ের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতেন। চরকাঁকড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম তার আপন ছোট ভাই। তিনি ভাইয়ের পাঠানো টাকা গুলো নিজের মত করে সব খরচ করে পেলেন। রুহুল আমিন দেশের আসার পর নিজের পাঠানো টাকার কোন হিসাব পাননি।
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, ছাত্রলীগ নেতা রহিম স্বৈরাচারী সরকারের প্রভাব খাটিয়ে তার দুই ভাইয়ের পরিবারসহ সমাজের অনেক মানুষকে হয়রানি করেছে। বর্তমানে তার সহযোগিদের প্রভাব খাটিয়ে রুহুল আমিন ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। ২০১৫ সালে বড় ভাই বেলাল হোসেনকে তৎকালীন আওয়ামী সরকারের প্রভাব দেখিয়ে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তার অংশের সম্পত্তি অবৈধ ভাবে ভোগ দখল করে আসছে। গত এক মাস পূর্বে থেকে ছাত্রলীগ নেতা রহিম তার ভাইদের ওয়ারিশী সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের পাঁয়তারা করছে। এজন্য রুহুল আমিনের স্ত্রীকে টাকা চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ঘর থেকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চরকাঁকড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুর রহিমের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে কোন কথা বলেননা। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জানা যায় আওয়ামী সরকার পতনের পর তিনি গা ঢাকা দেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপিরদর্শক (এসআই) মো.আলাউদ্দিন বলেন, লিখিত অভিযোগের আলোকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ছাত্রলীগ নেতার প্রভাব খাটানোর কিছু সত্যতা রয়েছে। অন্যান্য অভিযোগ নাকচ করে দেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার মা। পুলিশ তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।