পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দুই দেশের যৌথ নদীর কীভাবে একটি অভিন্ন ব্যবস্থাপনা করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত সফর ছিল চমৎকার, ফলপ্রসূ ও আন্তরিকতাপূর্ণ। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভারত সফরে তিস্তা এবং যৌথ নদী ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে ৫৪টি যৌথ নদী রয়েছে। সেই নদীর যদি একটি অভিন্ন ব্যবস্থাপনা করতে পারি, তাহলে তা দুটি দেশকেই উপকৃত করবে। সে নিয়ে আমরা আলোচনা উপস্থাপন করেছি। তিস্তা নিয়ে চীনের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনে আমরা ভারত সরকারের সহায়তা চেয়েছি। তখন চীন প্রসঙ্গ এসেছে। সেখানে জাতিগত যে সংঘাত চলছে, তাতে চীনের ভূমিকা নিয়ে কথা হয়েছে।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ই-ভিসা চালু করার বিষয়টি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই বলেছেন। বিশেষ করে মেডিকেল ভিসার ক্ষেত্রে, অন্যান্য ভিসাও যাতে সহজীকরণ হয়, সে বিষয়ে একটি প্যাকেজ নিয়ে এগোচ্ছেন তারা’। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা করতে ভারতের কারিগরি দল আসবে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘তিস্তা একটি বড় প্রকল্প। সেটা নিয়ে তাদের কারিগরি দল আসতেই হবে। আর কারিগরি দল আসা খুবই ইতিবাচক।’
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি আরবে আমি মূলত হজ করতে গিয়েছিলাম। যেহেতু আমাকে রয়েল প্রটোকল দেওয়া হয়েছিল, যাদের এই প্রটোকল দেওয়া হয়েছিল, তাদের সবাইকে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সৌদি যুবরাজ। তিনি তাদের সবার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আমি তাকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি বলেছেন ‘ইনশাআল্লাহ’।