নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পুঠিয়ার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের গোড়াগাছি বিলে ১৪৪ ধারা অমান্য করে উপজেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তিন ফসলিজমিতে অবৈধভাবে চলছে অবাধে পুকুর খনন। প্রায় ৫০ বিঘা ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন বিএনপির প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে।
খোঁজ নিয়ে এলাকাবাসীর নিকট জানা যায় ,পুকুর খনন করছে পুঠিয়ার স্থানীয় বিএনপির নেতা বাবুল, রইচ আর দেখাশোনা করছেন হান্নান। হান্নান নিজেই ভেকুর মালিক। ফসলি জমিতে রাতের আধারে পুকুর খনন করা হলেও এই প্রভাবশালীদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না স্থানীয় অসহায় কৃষকরা। সংবাদে প্রকাশ হলে প্রশাসন ভেকুর ব্যাটারি জব্দ ও ১৪৪ ধারা জারি করা হলেও রহস্যজনকভাবে ২-৩ দিন পরে আবারও ব্যাটারী চলে আসছে ক্ষমতাধরদের হাতে।
গত ১৫ বছরে পুঠিয়ায় শত শত বিঘা জমি খনন ও সেটার একাধিক সংবাদ প্রকাশ হলেও পুঠিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি কারো নামে মামলা। খননকারীকে চাপ দিয়ে জমি পূর্ণ ভরাটের ব্যবস্থা নেয়নি পুঠিয়া উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসন নীরব থাকায় অন্যান্য মানুষ সাহস পাচ্ছে ফসলি জমি খনন করার। কেউ কেউ আবার টাকার বিনিময়ে পুকুর খননের ব্যবসা খুলে রেখেছে বলে জানায় স্থানীয় জনগণ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক জানান, আমাদের এইসব জমিতে অনেক ভালো ধান, পাট, ভুট্টা হতো কিন্তু তারা এসব জমি কৃষকদের বেশি টাকার লোভ দেখিয়ে কৌশলে তাদের কাছে থেকে হাতিয়ে নিয়ে পুকুর খনন করছে। কেউ জমি দিতে রাজি না হলে তাদের ভয় ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে তাদের জমি। এতে আমাদের যেমন কৃষি জমি কমে যাচ্ছে অন্যদিকে তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। আমরা প্রানের ভয়ে তাদের কিছু বলার সাহস পাচ্ছিনা। আমার জমির পাশে পুকুর হলে আমার জমিতে ফসল ঠিক মত আসবেনা বলে বাধ্য হয়ে জমি কম টাকায় দিতে হচ্ছে।
এবিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা দেবাশীষ বসাক মুঠোফোনে জানান এর আগে আমি নিজেই ৩বার অভিযান করেছি পরে যেহেতু ১৪৪ ধারা জারি হয়েছিলো সেহেতু বিষয়টা এখন থানা দেখবে।
এবিষয়ে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, পুকুর খননেন বিষয় অবগত আছি ১৪৪ ধারা জারি হয়েছিলো ঠিক কিন্তু পরবর্তিতে কোর্ট থেকে আরেকটা অর্ডার জারি হয়েছিলো আপনি মামলার বাদির সাথে কথা বলেন।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনিও ফোন না ধরায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।