বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ। এর আগে, গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহারের বরাতে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী চট্রগ্রামে থাকেন। তিনি পেশায় একজন কাভার্ড ভ্যান চালক। ওই নারী উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের একটি দুর্গম চরের নিজ বাড়িতে তার এক ডিভোর্সী মেয়েকে নিয়ে একা থাকতেন। মাঝে মাঝে তার দূর সম্পর্কের এক দেবর তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। তাদের বাড়ির আশপাশে তেমন কারও বাড়িঘর নেই। গত ২১ অক্টোবর দিবাগত রাতে ছয়জন যুবক তাদের বাড়িতে আসেন। পরবর্তীতে মা ও মেয়েকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে গণধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় ঘর থেকে তারা টাকা পঁয়সাসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্রও লুট করে নিয়ে যায় এবং ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। পরে ২৭ অক্টোবর বিষয়টি জানাজানি হয়। পরের দিন নির্যাতিত নারী বাদী হয়ে ৬জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোম্পানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।