নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক তরুণীকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগে পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণ মো. ফরহাদ (২২), রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে হোসেন মেম্বার (৪০) ও গ্রাম পুলিশ মো. আব্বাস (৫০)।
গতকাল রোববার (৭ এপ্রিল) উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে, গত শুক্রবার ৫ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম তরুণী কিছুটা বাকপ্রতিবন্ধী। একই এলাকার ফরহাদ (২২) তাকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দেয়। যার জের ধরে গত বৃহস্পতিবার ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা আনুমানিক সাতটার দিকে ফরহাদ কৌশলে ওই তরুণীকে নির্মাণাধীন পাকা ভবনের সিঁড়ির কক্ষে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। হুমকি দেওয়ার কারণে ভুক্তভোগী তরুণী প্রথমে ঘটনাটি কাউকে জানায়নি। পরবর্তীতে পরদিন শুক্রবার একই সময় ও একই স্থানে ওই তরুণীকে ডেকে নিলে প্রতিবেশিরা বিষয়টি টের পেয়ে তার মাকে খবর দিলে তিনিসহ প্রতিবেশিরা গিয়ে হাতেনাতে অভিযুক্ত ফরহাদকে আটক করেন। এরপর বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য হোসেন মেম্বার ও গ্রাম পুলিশকে আব্বাসকে জানিয়ে তাদের কাছে অভিযুক্ত ফরহাদকে হস্তান্তর করেন। কিন্তু ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ অভিযুক্ত ফরহাদকে থানায় সোপর্দ না করে টাকার বিনিময়ে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন। এরপর ভিকটিমের মা থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গতকাল রোববার এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তিন আসামিকে গতকাল রোববার গ্রেপ্তার করে নোয়াকালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। অপরদিকে, ধর্ষণের শিকার তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।