নাটোরের গুরুদাসপুরে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে যুবলীগের হামলায় ছাত্রদল ও বিএনপির ১১ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার মধ্যমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন—আব্দুল হামিদের ছেলে পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাকিল আহমেদ (২২), মৃত গফুর প্রামানিকের ছেলে মিলন প্রামানিক (৪০), সাইফুল ইসলামের ছেলে সাব্বির (১৯), জাহিদের ছেলে জনি (২২), ইমরানের ছেলে শামীম (৩৮) ও সাইফুল (৪২)। এ ছাড়াও আহত ৪-৬ জনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানায়, ছয় মাস আগে বিএনপি কর্মী রাকিবের কাছে ৩০ বস্তা চাল বাকিতে নেন হোটেল ব্যবসায়ী ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন ও তার ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন। গত ৩ দিন ধরে পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে বিএনপি কর্মী রাকিবের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেন রাকিব। এতে ক্ষিপ্ত হয় আলমগীর হোসেন ও তার ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন। তারা আরও জানায়, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে রাকিবসহ বিএনপি ও ছাত্রদলের কর্মীরা চালের টাকা চাইতে যায়। এ সময় যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেন ও তার দলীয় লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ১১ জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে গুরুতর ৫ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে রাত ১২টার দিকে মধ্যমপাড়া এলাকায় যুবলীগ কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করার চেষ্টা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। গুরুদাসপুর থানার ওসি গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, চাল বিক্রির দ্বন্দ্ব রাজনৈতিক রূপ নিয়েছে। যুবলীগকর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুরের সত্যতা পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।