নরসিংদীর রায়পুরায় পরিবারের সাথে ঈদের ছুটি কাটাতে রাজধানী ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেছিলেন মৃদুল মিয়া (১৯) নামে এক কলকারখানা শ্রমিক। পরে ঈদের আগের দিন বন্ধুদের সাথে গোসল করতে মেঘনা নদীতে নামে আর উঠে আসেনি মৃদুল। এমতাবস্থায় নিখোঁজ হওয়ার ৪৫ ঘন্টা পর নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় যুবক মৃদুলের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ফকিরের চর এলাকার মেঘনা পাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। নিহত মৃদুল উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের কমলপুর এলাকার অটোরিকশা চালক মুজিবর রহমান ছেলে এবং রাজধানীর একটি কারখানার শ্রমিক ছিল।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঈদের আগের দিন রবিবার (১৬ জুন) দুপুরে চার বন্ধুর সাথে উপজেলার পান্থশালা ফেরিঘাটে গোসল করতে নেমে স্রোতে তলিয়ে যান মৃদুল। এ সময় তাঁর তিন বন্ধুকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। বিকেলে খবর পেয়ে আসেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। দুযোর্গপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অভিযান সমাপ্ত করেই চলে যান তারা। পরে আজ সকালে স্থানীয়রা ফকিরের চর মেঘনার পাড়ে একটি ভাসমান লাশ পান। পরে নৌ পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। উদ্ধার হওয়া লাশটি শনাক্ত করেন নিহত মৃদুলের স্বজনরা।
এদিকে সংবাদ পেয়ে নিহত মৃদুলের লাশ শনাক্ত করতে গিয়ে অচেতন হয়ে পড়েন বাবা মুজিবুর রহমান। পরে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনরা। পরিবারের একমাত্র সন্তানের মৃত্যুতে ঈদের খুশি বিষাদে পরিনত হয়েছে। সাঁতার না জানাই এমন মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
মিজার্চর নৌ-পুলিশের উপপরিদর্শক আসাদুজ্জামন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে লাশ উদ্ধার করে পান্থশালা মেঘনা ঘাটে আনি। উর্ধ্বতন কর্মকতার্দের সাথে আলাপ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।