Dhaka 1:52 pm, Sunday, 22 December 2024

নওগাঁয় চাঁদাবাজি করতে এসে রাজশাহীর ২ ভূয়া সাংবাদিক আটক

নওগাঁর মান্দায় গোয়েন্দা সংস্থার বিভাগীয় কর্মকতা পরিচয়ে এক ভাংড়ি ব্যাবসায়ীর কাছে চাঁদাবাজি করতে এসে ২ ভূয়া সাংবাদিককে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। রবিবার (১২ মে) দুপুরে উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের সাবাইহাটে এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলেন, রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানার ছোট বনগ্রামের ইব্রাহীমের ছেলে রেজাউল করিম ওরফে রেজা (৫২) এবং তার ক্যামেরা পার্সন এয়ারপোর্ট থানার বায়া বাজার এলাকার ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে রফিক (৪০)। এসময় স্থানীয়দের তোপের মুখে, রেজাউল করিম ওরফে রেজা ভোরের চেতনা নামক একটি আন্ডগ্রাউন্ড পত্রিকার মেয়াদ উত্তীর্ণ বিশেষ প্রতিনিধির পরিচয় পত্র (কার্ড) দেখান। তবে তার ক্যামেরা পার্সন রফিক কোন পরিচয় পত্র (কার্ড) দেখাতে পারেননি।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, প্রতারণার এবং গরু চুরির একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে।

উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের পানিয়াল গ্রামের ভূক্তভোগী মৃত নছর আলীর ছেলে হারেজ আলী বলেন, পেশায় তিনি একজন ভাংড়ি ব্যাবসায়ী। সাবাইহাটে তার একটি ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত প্রায় ২ বছর যাবৎ বিভিন্ন সময় তার ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে এসে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মী পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা নিয়ে গেছেন রেজাউল করিম ওরফে রেজা এবং রফিক নামে ওই দুই যুবক। আজ রবিবার বেলা ১১ টার দিকে ওই ২ জন যুবক পূনঃরায় তার ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে এসে মোটা অঙ্কের চাঁদাদাবি করেন। এরপর তিনি বিষয়টি স্থানীয় ব্যাবসাীয়দের জানালে, স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা ওই দুই যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা করেন। এসময় তারা দু’জন প্রথমে নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মী পরিচয় দেন। পরে তারা উভয়ে নিজেদেরকে রাজশাহী মডেল প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক বলে দাবি করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সটকে পড়ার চেষ্টা করেন। তাদের অসংলগ্ন কথাবার্তা ও আচরণে সন্দেহ দেখা দেওয়ায় তাদেরকে আটকের পর পুলিশে সোপার্দ করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ভূক্তভোগী জানান,এর আগেও রেজাউল করিম ওরফে রেজা এবং রফিক নামে ওই দুই যুবক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মী পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠান,ডাক্তারদের চেম্বার, ক্লিনিক, ইটভাটা,পুকুর,গরুর হাট,বিয়েবাড়ি, কাজী অফিস,ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে এসে চাঁদাদাবি করতেন। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে বিভিন্ন রকমের হুমকি প্রদান করতেন।

মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোজাম্মেল হক কাজী বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে আটককৃতদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

নওগাঁয় চাঁদাবাজি করতে এসে রাজশাহীর ২ ভূয়া সাংবাদিক আটক

আপলোড সময় : 11:27:23 pm, Sunday, 12 May 2024

নওগাঁর মান্দায় গোয়েন্দা সংস্থার বিভাগীয় কর্মকতা পরিচয়ে এক ভাংড়ি ব্যাবসায়ীর কাছে চাঁদাবাজি করতে এসে ২ ভূয়া সাংবাদিককে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। রবিবার (১২ মে) দুপুরে উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের সাবাইহাটে এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলেন, রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানার ছোট বনগ্রামের ইব্রাহীমের ছেলে রেজাউল করিম ওরফে রেজা (৫২) এবং তার ক্যামেরা পার্সন এয়ারপোর্ট থানার বায়া বাজার এলাকার ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে রফিক (৪০)। এসময় স্থানীয়দের তোপের মুখে, রেজাউল করিম ওরফে রেজা ভোরের চেতনা নামক একটি আন্ডগ্রাউন্ড পত্রিকার মেয়াদ উত্তীর্ণ বিশেষ প্রতিনিধির পরিচয় পত্র (কার্ড) দেখান। তবে তার ক্যামেরা পার্সন রফিক কোন পরিচয় পত্র (কার্ড) দেখাতে পারেননি।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, প্রতারণার এবং গরু চুরির একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে।

উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের পানিয়াল গ্রামের ভূক্তভোগী মৃত নছর আলীর ছেলে হারেজ আলী বলেন, পেশায় তিনি একজন ভাংড়ি ব্যাবসায়ী। সাবাইহাটে তার একটি ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত প্রায় ২ বছর যাবৎ বিভিন্ন সময় তার ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে এসে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মী পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা নিয়ে গেছেন রেজাউল করিম ওরফে রেজা এবং রফিক নামে ওই দুই যুবক। আজ রবিবার বেলা ১১ টার দিকে ওই ২ জন যুবক পূনঃরায় তার ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে এসে মোটা অঙ্কের চাঁদাদাবি করেন। এরপর তিনি বিষয়টি স্থানীয় ব্যাবসাীয়দের জানালে, স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা ওই দুই যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা করেন। এসময় তারা দু’জন প্রথমে নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মী পরিচয় দেন। পরে তারা উভয়ে নিজেদেরকে রাজশাহী মডেল প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক বলে দাবি করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সটকে পড়ার চেষ্টা করেন। তাদের অসংলগ্ন কথাবার্তা ও আচরণে সন্দেহ দেখা দেওয়ায় তাদেরকে আটকের পর পুলিশে সোপার্দ করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ভূক্তভোগী জানান,এর আগেও রেজাউল করিম ওরফে রেজা এবং রফিক নামে ওই দুই যুবক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মী পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠান,ডাক্তারদের চেম্বার, ক্লিনিক, ইটভাটা,পুকুর,গরুর হাট,বিয়েবাড়ি, কাজী অফিস,ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে এসে চাঁদাদাবি করতেন। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে বিভিন্ন রকমের হুমকি প্রদান করতেন।

মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোজাম্মেল হক কাজী বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে আটককৃতদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।