রাজশাহী’র বাগমারা’র আউচপাড়া ইউনিয়নের বাহমুনিগ্রাম ও বেলঘড়িয়াহাট দুই গ্রামের মানুষের নির্বিঘ্নে ও সহজে চলাচল করতে দীর্ঘ দিনের ভোগান্তির অবকাশ করে দুই গ্রামের মানুষের যোগাযোগের জন্য নিজেস্ব উদ্দোগে এলাকাবাসী তৈরি করছেন বাঁশে সেতু ।
১৬ অক্টোবর বেলা ১২ ঘটিকা’য় বাগমারা বিএনপির সভাপতি ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়া এই সেতু নির্মাণের কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।
এই সময় ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়া গ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের এলাকার কৃতি সন্তান বিশিষ্ট সাবেক খেলোয়াড় জনি, আমার সাথে সহপাঠী হাটখুজিপুর সহকারী শিক্ষক বিএনপি সহ-সভাপতি ইউনিয়ন রফিকুল ইসলাম সাজু সহ উপস্থিত গ্রামবাসী সবাইকে জানাই সালাম ও আদাব, আমি প্রথমে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এলাকাবাসী কোন সরকারি অনুদান ছাড়াই এত বড় বাঁশের সেতু তৈরির উদ্যোগ নেওয়া জনি সহ যারা এই কাজে অংশগ্রহণ করছেন, সকল কে আউচপাড়া ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।
তিনি আরও বলেন, সামনে যদি ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে আমি উপজেলা বিএনপির সভাপতি এখানে স্থানীয় ভাবে ব্রিজের ব্যবস্থা করে দিব, এলাকাবাসী আমাদের সহযোগিতা ছাড়াই, এত মহত্ব উদ্যোগ নেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা শিকার করে পরমু করুনাময় খোদাতায়ালা কাছে অন্তরের অন্তস্তল থেকে সকলকে ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, এই সেতু নির্মাণের আগে দুই গ্রামের মানুষ এই গ্রাম থেকে ঐ গ্রামে যেতে হলে প্রায় ৮ মাইল রাস্তা ঘুরে যেতে হতো , আর নৌকায় করে য়াতায়েত করতে অনেক সময় নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো।
কিন্তু এখন এই সেতু নির্মাণের ফলে পার্শ্ববর্তী দুই গ্রামের সাথে অন্যান্য গ্রামের সাথে যোগাযোগে স্থাপন আরো দ্রুত সম্ভব হবে ।
এর মধ্যে বেলঘড়িয়া, শিলগ্রাম, বাবনল, বাথইল, নায়ানপুর, কুডগ্রাম, ডুবইল, মাড়িয়া, মাওল, সুজনিপুর,জিয়াপাড়া, মঙ্গলপুর,হরিপুর,সমাজপুর, দৌলপুর,হতে, বামনি গ্রাম সাইধাড়া, লাউস,লরিপাড়া, পালুপাড়া, বিংনপুর, ইন্দ্রপুর, আউচপাড়া, হাটখুজিপুর,কানাইশহর, উভয় গ্রামের মানুষ যোগাযোগ সহ, শিলগ্রাম হাটে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম হল এই বাঁশের সেতু।
গ্রামের অন্যান্য লোকজন বলেন, কোন সরকারের আমলে আমাদের এই অসুবিধা দুর করতে কোন নেতা কর্মীরা উদ্দোগ নেইনি, আমার দীর্ঘ দিনের এই সমস্যার সমাধান এবার নিজেরাই করছি , এই সেতু নির্মাণের ফলে আমাদের দীর্ঘদিনের যাতায়াতের সমস্যা দূর হবে এবং আমরা এক গ্রামের সাথে আরেক গ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকার সাথে যোগাযোগ সহজেই করতে পারব।
এছাড়া সেতু নিমান কাজে সেচ্ছায় বিভিন্ন গ্রামের মানুষ শ্রম দিয়ে কয়েকদিন থেকে বাঁশ সংরক্ষণ করেন,নিজ ইচ্ছায় গ্রামবাসীরা সেতু নির্মানে অংশগ্রহণ করেন, তারা জনির এমন উদ্যোগে সাধুবাদ জানিয়েছেন।।