Dhaka 11:22 pm, Monday, 30 December 2024

দাউদকান্দির বারোপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে আওয়ামীলীগ পন্থী সদস্য সচিব, নেতাকর্মীদের তীব্র ক্ষোভ

চলতি বছরের ১৮ডিসেম্বর মোঃ নুরুল ইসলাম দেওয়ানকে আহ্বায়ক ও মোঃ শাহজাহান সরকারকে সদস্যসচিব করে ৫ সদস্যের দাউদকান্দি উপজেলার বারোপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি অনুমোদন দেন দাউদকান্দি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ লতিফ ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব ভিপি জাহাঙ্গীর আলম। এ কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে আওয়ামী লীগপন্থী হিসেবে শাহজাহান সরকারের নাম আসায় স্থানীয় ত্যাগী বিএনপি নেতাকমীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির দাবি, বিগত দিনে আওয়ামীলীগ সরকারের সময় আওয়ামীলীগের থেকে শাহজাহান সরকার বিভিন্ন ভাবে সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন। বিগত দিনগুলোতে বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে রাজনৈতিকভাবে অনেক হয়রানির শিকার নেতাকমীরা, তখন শাহজাহান সরকার আওয়ামীলীগ থেকে সুবিধা নিতে ব্যস্থ ছিলেন। তাছাড়া তার আপন ভাই মোঃ আলী আশরাফ সিদ্দিকী (মিঠু) আওয়ামী লীগের সময় ২০২৪ সালের লোক দেখানো জাতীয় নিবাচনে বারোপাড়া ইউনিয়নের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির তালিকাভুক্ত ৮নং সক্রিয় সদস্য ছিলেন।

শাহজাহান সরকার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এলাকায় ছিল। ৫ তারিখ আগে বিএনপির মিটিং মিছিলে তেমন দেখা যায়নি তাকে। গতকাল কমিটি ঘোষণার পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই মন্তব্য করেন যে কিভাবে শাহজাহান সরকার বিএনপি’র সদস্য সচিব নির্বাচিত হয়। তাছাড়া ইউনিয়ন বিএনপিতে সদস্য সচিব হিসেবে নিজের নাম লেখাতে ৭ লক্ষ টাকা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন নেতাকমীরা। বারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির তৃণমূলদের মাঝে এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।

বিশেষ করে এ কমিটি নিয়ে যাদের তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে তাদের মধ্য অন্যতম হলেন, বারোপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন মিয়া, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি লুতফুর রহমান মাস্টার, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি এস এম মাখন, যুবদল নেতা রতন দেওয়ান ও দাউদকান্দি উপজেলা কুৃষকদলের যুগ্ন আহ্বায়ক বিল্লাল হুসেন ভুইয়া।

অভিযোগের সত্যটা খুঁজতে আমাদের হাতে আসে আওয়ামী লীগের ২০২৪ সালের কথিত দ্বাদশ জাতীয় নিবাচন পরিচালনা কমিটির বারোপাড়া ইউনিয়নের কমিটির তালিকা। সেই তালিকায় সদস্য ছিলেন শাহজাহান সরকারের ভাই আলী আশরাফ সিদ্দিকী (মিঠু)। তিনি ওই কমিটির ৮নং সক্রিয় সদস্য। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শাহজাহান সরকার নিজেই (দাউদকান্দি-তিতাসের) সাবেক এমপি মেজর জেনারেল অবঃ সুবেদ আলী ভূঁইয়াকে ফুল দিয়ে বরণ করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছিলেন। এমন একটি ছবিও আমাদের হাতে আসে।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বারোপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব শাহজাহান সরকার অভিযোগ অস্বীকার করে ছবির বিষয়ে জানান, সে সময়ে যে দাউদকান্দির লোকাল এমপি ছিলো এবং স্থানীয় রাজনৈতিক পেক্ষাপটের কারণে আমার নেতা বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের অনুমতি নিয়ে করা। আমিসহ আরও কয়েকজন ছিলো। সেটাকে পুঁজি করে একদল বিরোধীতা করছে। ১৯৮৯ সাল থেকে আমি রাজনৈতি করি।

তার আপন ভাই আলী আশরাফ সিদ্দিকী (মিঠু) আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা আমি জানি না, আমার ভাইয়া কোন আওয়ামী লীগের কোন মিটিং প্রোগ্রাম করতো না, কোন কিছুই না, সেটা আমি কোন কিছু জানতাম না।

Write Your Comment

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

দাউদকান্দির বারোপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে আওয়ামীলীগ পন্থী সদস্য সচিব, নেতাকর্মীদের তীব্র ক্ষোভ

আপলোড সময় : 05:41:49 pm, Saturday, 21 December 2024

চলতি বছরের ১৮ডিসেম্বর মোঃ নুরুল ইসলাম দেওয়ানকে আহ্বায়ক ও মোঃ শাহজাহান সরকারকে সদস্যসচিব করে ৫ সদস্যের দাউদকান্দি উপজেলার বারোপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি অনুমোদন দেন দাউদকান্দি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ লতিফ ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব ভিপি জাহাঙ্গীর আলম। এ কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে আওয়ামী লীগপন্থী হিসেবে শাহজাহান সরকারের নাম আসায় স্থানীয় ত্যাগী বিএনপি নেতাকমীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির দাবি, বিগত দিনে আওয়ামীলীগ সরকারের সময় আওয়ামীলীগের থেকে শাহজাহান সরকার বিভিন্ন ভাবে সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন। বিগত দিনগুলোতে বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে রাজনৈতিকভাবে অনেক হয়রানির শিকার নেতাকমীরা, তখন শাহজাহান সরকার আওয়ামীলীগ থেকে সুবিধা নিতে ব্যস্থ ছিলেন। তাছাড়া তার আপন ভাই মোঃ আলী আশরাফ সিদ্দিকী (মিঠু) আওয়ামী লীগের সময় ২০২৪ সালের লোক দেখানো জাতীয় নিবাচনে বারোপাড়া ইউনিয়নের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির তালিকাভুক্ত ৮নং সক্রিয় সদস্য ছিলেন।

শাহজাহান সরকার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এলাকায় ছিল। ৫ তারিখ আগে বিএনপির মিটিং মিছিলে তেমন দেখা যায়নি তাকে। গতকাল কমিটি ঘোষণার পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই মন্তব্য করেন যে কিভাবে শাহজাহান সরকার বিএনপি’র সদস্য সচিব নির্বাচিত হয়। তাছাড়া ইউনিয়ন বিএনপিতে সদস্য সচিব হিসেবে নিজের নাম লেখাতে ৭ লক্ষ টাকা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন নেতাকমীরা। বারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির তৃণমূলদের মাঝে এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।

বিশেষ করে এ কমিটি নিয়ে যাদের তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে তাদের মধ্য অন্যতম হলেন, বারোপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন মিয়া, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি লুতফুর রহমান মাস্টার, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি এস এম মাখন, যুবদল নেতা রতন দেওয়ান ও দাউদকান্দি উপজেলা কুৃষকদলের যুগ্ন আহ্বায়ক বিল্লাল হুসেন ভুইয়া।

অভিযোগের সত্যটা খুঁজতে আমাদের হাতে আসে আওয়ামী লীগের ২০২৪ সালের কথিত দ্বাদশ জাতীয় নিবাচন পরিচালনা কমিটির বারোপাড়া ইউনিয়নের কমিটির তালিকা। সেই তালিকায় সদস্য ছিলেন শাহজাহান সরকারের ভাই আলী আশরাফ সিদ্দিকী (মিঠু)। তিনি ওই কমিটির ৮নং সক্রিয় সদস্য। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শাহজাহান সরকার নিজেই (দাউদকান্দি-তিতাসের) সাবেক এমপি মেজর জেনারেল অবঃ সুবেদ আলী ভূঁইয়াকে ফুল দিয়ে বরণ করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছিলেন। এমন একটি ছবিও আমাদের হাতে আসে।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বারোপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব শাহজাহান সরকার অভিযোগ অস্বীকার করে ছবির বিষয়ে জানান, সে সময়ে যে দাউদকান্দির লোকাল এমপি ছিলো এবং স্থানীয় রাজনৈতিক পেক্ষাপটের কারণে আমার নেতা বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের অনুমতি নিয়ে করা। আমিসহ আরও কয়েকজন ছিলো। সেটাকে পুঁজি করে একদল বিরোধীতা করছে। ১৯৮৯ সাল থেকে আমি রাজনৈতি করি।

তার আপন ভাই আলী আশরাফ সিদ্দিকী (মিঠু) আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা আমি জানি না, আমার ভাইয়া কোন আওয়ামী লীগের কোন মিটিং প্রোগ্রাম করতো না, কোন কিছুই না, সেটা আমি কোন কিছু জানতাম না।