আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোস্ট গার্ডকে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘নতুন দুটি জাহাজ ও হেলিকপ্টার কোস্ট গার্ডে যুক্ত হচ্ছে। যুক্ত হবে আধুনিক মেরিটাইম সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম। অচিরেই ত্রিমাত্রিক বাহিনী হতে চলেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
গতকাল রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এর সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সমুদ্রে বাংলাদেশ নিজস্ব সীমানার মালিক হয়েছে। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে এটি সম্ভব করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।’
দেশের অর্থনীতিতে সমুদ্রসম্পদ ভূমিকা রাখবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ জন্য এরই মধ্যে সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনমি ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সংযোগস্থল হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’ এ ক্ষেত্রে কোস্ট গার্ডকে নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্রসীমা আইন প্রণয়ন করে বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্রসীমা জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানই নিশ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশে যেন নৌঘাঁটি হয় সেটা ছয় দফাতে তিনিই (জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান) দাবি করেছিলেন।
আইন জাতিসংঘ করেছিল ১৯৮২ সালে, আর জাতির পিতা করেন ১৯৭৪ সালে, এটা বিশ্বে দৃষ্টান্ত ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল সেই জিয়া সরকার, এরশাদ সরকার বা খালেদা জিয়ার সরকার কেউ কিন্তু সমুদ্রসীমায় আমাদের অধিকার নিশ্চিত বিষয়ে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ’৯৬ সালে সরকার গঠন করার পরই আমরা উদ্যোগ নিই।’
সেই কর্মযজ্ঞের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সমুদ্রসীমায় আমাদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ শুরু করি। এর পাঁচ বছর পরে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি।
২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত কেউ আর উদ্যোগ নেয়নি। ২০০৯ সালের সরকার গঠন করেই সমুদ্রসীমায় আমাদেরও যে অধিকার তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করি। আল্লাহ রহমতে আমরা সেটা করতে পেরেছি।’
দেশের লক্ষ্যের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। প্রত্যেকেই একটি ঠিকানা পাবে, উন্নত জীবন পাবে।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভি-স্যাট নেট কমিউনিকেশন সিস্টেমসহ পাঁচটি স্টেশন ও একটি আউটপোস্টের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশক : মাসুদ রানা সুইট । সম্পাদক : আবুল হাসনাত অমি । নগর সম্পাদক : ইফতেখার আলম বিশাল নির্বাহী সম্পাদক : রুবেল আহম্মেদ । মফস্বল সম্পাদক : মোস্তাফিজুর রহমান । ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নীলা সুলতানা । বার্তা সম্পাদক : -------------- । সহ-বার্তা সম্পাদক : আলিফ বিন রেজা । সহ-বার্তা সম্পাদক :
Copyright © 2024 Dainiksopnerbangladesh.com. All rights reserved.