কুমিল্লার তিতাসে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বাদ ইফতার বলরামপুর গ্রামে সরকার বাড়ির সুবিদ আলীর ছেলে মোঃ জাকির হোসেন (৫০) কে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে।
হামলায় জাকির হোসেন গুরুতর আহত হয়ে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। জাকির হোসেন এর শোর চিৎকারে সোহাগ মিয়ার স্ত্রী রেশমি আক্তার (২৫) ছুটাতে গেলে তাকেও আঘাত করে। বর্তমানে রেশমিও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এবিষয়ে আহত রেশমির স্বামী সোহাগ মিয়া ও জাকির হোসেন এর বড় ভাই সওদাগর বলেন,জাকির হোসেন বাতাকান্দি মেয়ের বাসা থেকে বাড়ি ফিরছিলো। বলরামপুর মসজিদের রাস্তার সামনে আসলে শেখ সাহেব এর স্ত্রী এবং জাহাঙ্গীর ভূইয়ার মেয়ে পলি সিএনজি থেকে নামায়। পরে শেখ সাহেব এর ছেলে ইয়ার হোসেন, বাবু, জাহাঙ্গীর ভূইয়ার ছেলে মেহেদি, রবিউলের ছেলে ফারুক, আনোয়ার আলীর ছেলে বিল্লাল, শেখ কামালের ছেলে সাইম, মতিউর রহমানের ছেলে আলাল, মুজাম্মল, রফিক মিয়ার ছেলে রুবেল মিলে জাকিরকে এসএস পাইপ এবং চাইনিজ কুড়াল দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। গিয়াসউদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর ভূইয়া অর্ডার দেয় তাকে যেন একেবারে মেরে ফেলা হয়।
এবিষয়ে জাহাঙ্গীর ভূইয়া বলেন, ভাই আমি দীর্ঘদিন অসুস্থ। আমি ঘর থেকেই বের হতে পারছি না। মারামারি হয়েছে রাস্তায় আর আমি হচ্ছি ঘরে। কিভাবে অর্ডার দিলাম? বুঝে আসে না।
এবিষয়ে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাঞ্চন কান্তি দাশ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখনও কোন মামলা হয়নি। তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য বিগত ১৫ বছর যাবত ভূইয়া ও সরকার বংশের মধ্যে ৮ শতক জায়গা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। হামলা পাল্টা হামলা, মামলা পাল্টা মামলা উভয় গোত্রের মধ্যে চলছেই। সকলের আশংকা যে কোন সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দূর্ঘটনা। তবে এলাকায় চাউর আছে যে, তৃতীয় একটি পক্ষ বিষয়টিতে ইন্ধন দিচ্ছে।