কুমিল্লার তিতাস নিখোঁজের সাড়ে তিন মাস পর বৃদ্ধ নারী মরিয়ম বেগমের হাড়গোড় উদ্ধার করছে পিবিআই। শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটায় উপজলার সাতানী ইউনিয়নের চরকুমারিয়া এলাকার ফসলী জমি থেকে এ হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। মরিয়ম বেগম (৬০) চরকুমারিয়া গ্রামর মধ্যপাড়ার মৃত মনু মিয়ার মেয়ে। স্বামী মারা যাওয়ার পর নিঃসম্বল মরিয়ম দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ বাবার বাড়িতে থাকতেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতানী ইউনিয়নের তাতুয়াকান্দি গ্রামের ছক্কা মিয়া মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম প্রায় ২৫ বছর আগে বাবার বাড়িতে চলে আসে। সেই থেকে মরিয়ম মানুষের বাড়িতে টুকটাক কাজ করে জীবন যাপন করে আসছিল। তবে সে বাড়িতে হাঁস-মুরগী ও ছাগল পালন করতেন। গত ৫ আগষ্ট সন্ধ্যায় মরিয়মের একাধিক ছাগল গুলোর ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন দেখতে পায় সে বাড়িতে নেই। পরে স্থানীয় লোকজন অনেক খুঁজাখুঁজির পর ড্রোন দিয়ও এলাকায় তল্লাশি চালানা হয়। এর পর থেকে তার আর কোন হদিস পাওয়া যায়নি।
এদিকে, শনিবার বেলা ১০টায় বর্গাচাষী চরকুমারিয়া গ্রামের কামাল হোসেন বর্গাকৃত একটি জমির কচুরীপানা পরিষ্কার করতে গিয়ে মানুষের মাথারখুলি ও হাড়গোড় দেখতে পায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযাগিতায় ৯৯৯ এ কল দিলে দুপুরে ঘটনাস্থলে তিতাস থানা পুলিশ উপস্থিত হয়। বিকাল সাড়ে ৩টায় কুমিল্লা জেলা থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) একটি দল এসে জমি থেকে হাড়গোড় উদ্ধার করে।
ফসলী জমির বর্গাচাষী চরকুমারিয়ার মো. কামাল হোসেন জানান, সকালে জমিনের কচুরীপানা পরিষ্কার করতে এসে দেখি মাথারখুলি ও হাড়গোড় পরে আছে। পরে ৯৯৯ নাম্বারে কল দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে ছিলাম।
চরকুমারিয়া গ্রামের মো. মানিক মিয়া বলেন, হাড়গোড়ের সাথে যে জামা-কাপড় ও হাতের চুড়ি পাওয়া গেছে এটি মরিয়মের। সে যেদিন নিখোঁজ হয়েছিল সেদিন এই কাপড়গুলা পরনে ছিল অনেকে দেখেছে। ছাগলের ঘাস নেওয়ার জন্য সে জমিনে প্রায় আসতো।
তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশীদ বলেন, স্থানীয় লোকজন নিশ্চিত করছে এটি মরিয়মের দেহের হাড়গোড় হতে পারে। তারপরও পিবিআই আলামত সংগ্রহ করছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বোঝা যাবে এ হাড়গোড় মরিয়মের কি না।