পিয়ালের বাবা কিতাব আলী বলেন, দুপুরে খাবার খাওয়ার জন্য পিয়াল বাড়িতে ফিরছিলো। হল রোডে পৌঁছালে তার ওপর হামলা চালায় মোবারকপুর গ্রামের কামারুল ইসলামের ছেলে শাহীন রেজা ও শামীম, আমিরুল ইসলামের ছেলে ডালিম ও রিপন, ইয়াকুব আলীর ছেলে সোহেল, আব্দুস সোবহানের ছেলে মেহেদী ও আইয়ুব এবং ইসমাইলসহ অজ্ঞাতরা।
পিয়াল তাঁদের হাত থেকে বাঁচাতে গার্লস স্কুলের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এ সময় তার পিছু নিয়ে সেখানে পিয়ালকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
অভিযুক্ত শামীম রেজা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক এবং বাকিরা স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
পিয়ালের চাচা সিরাজুল ইসলাম বলেন, পিয়াল অভিযুক্ত শামীম-শাহীনের বাবা কামারুল ইসলামকে ছুরিকাঘাতের মামলায় গত বৃহস্পতিবার কারাগার থেকে জামিনে বের হয়েছে। এ নিয়ে আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় মীমাংসা বৈঠকের কথা ছিলো। এর আগেই তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হলো।
জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শাহীন আলম বিপ্লব বলেন, দেড়টার দিকে প্রতিবেশীর মোবাইলের মাধ্যমে জানতে পারি একজনের লাশ পড়ে রয়েছে। সেখানে গিয়ে পিয়ালের লাশ দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। নিহত পিয়াল যুবদলের কর্মী বলে জানান তিনি।
ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক পার্থ সারথী রায় বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই পিয়ালের মৃত্যু হয়। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে কোপের চিহ্ন রয়েছে।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবলুর রহমান বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের আটকে পুলিশের অভিযান চলছে।