জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকা বিষয়ক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
সরকার যেসব গ্রেডের জ্বালানি তেলের বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে থাকে, সেগুলোর জন্য এই স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে। পণ্যগুলো হলো- ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোল৷ তবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) প্রয়োজন মনে করলে অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্যের ক্ষেত্রেও শর্ত সাপেক্ষে ওই নির্দেশনা প্রয়োগ করতে পারবে। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রাথমিকভাবে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি মার্চ থেকে কার্যকর হবে।
ঋণের জন্য আইএমএফ গত সেপ্টেম্বর থেকে স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি (অটোমেটেড প্রাইসিং ফর্মুলা) কার্যকর করার শর্ত দিয়েছিল। আইএমএফের শর্ত পূরণে ডিজেল, পেট্রোল, অকটেনসহ জ্বালানি তেলের দাম বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে নিয়মিত সমন্বয় করার উদ্যোগ নেয় সরকার।
এখন দেশের বাজারে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯, অকটেন ১৩০ এবং পেট্রোল ১২৫ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে। বিপরীতে আন্তর্জাতিক বাজারে এখন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি ব্যারেল ৭৯ থেকে ৮৩ ডলারের মধ্যে।