প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ‘আমরা পঞ্চম সংশোধনী মামলায় বলেছি, জিয়াউর রহমান, রাষ্ট্রপতি সায়েম সাহেব, খন্দকার মোশতাকের ক্ষমতা দখল ছিল বেআইনি।’ শুক্রবার (১ মার্চ) বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রামে রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার ও আকছির চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট স্কুলের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আপনারা যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন আপনারা যে কাজটি করেছেন বাংলাদেশে আমরা বা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের পক্ষে করা সম্ভব হবে না। এ কারণে আপনারা হলেন শ্রেষ্ঠ সন্তান।
তিনি বলেন, আমি যখন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছিলাম তখন আমার মনে পড়ত আমার সামনে মুক্তিযোদ্ধারা সাক্ষ্য দিচ্ছেন। আমার কোর্টে বিচার হয়েছে আলী আহসান মুজাহিদ, মীর কাশেম আলী, কামারুজ্জামান, মাওলানা ইউসুফের। ওই সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের একটা বিষয় আমি লক্ষ করেছি তারা কখনও সাক্ষ্য দিতে গিয়ে বাড়িয়ে কথা বলতেন না। তারা বলেছেন আমি এটুকু করেছি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা পঞ্চম সংশোধনী মামলায় বলেছি জিয়াউর রহমান, রাষ্ট্রপতি সায়েম সাহেব, খন্দকার মোশতাকের ক্ষমতা দখল ছিল বেআইনি। সায়েম সাহেবের ক্ষমতা দখল ও আরোহণ ছিল বেআইনি। জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাকের ক্ষমতা দখল বেআইনি ছিল। বিচারকরা জাজম্যান দিয়ে বলেছেন বেআইনি। একটা গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল ছিল বেআইনি।
রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার ও আকছির চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট স্কুলের সভাপতি আকছির এম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তৃতা করেন রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমান, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিউর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার প্রমুখ।