গুম থেকে নাগরিকদের সুরক্ষায় জাতিসংঘের গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে সই করেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক কনভেনশন ফর দ্য প্রটেকশন অব অল পার্সনস ফ্রম ফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স সনদে স্বাক্ষর করেন।
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসের একদিন আগে এই সনদে স্বাক্ষর করল বাংলাদেশ। পরে ড. ইউনূস বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
গত ১৫ বছরে বলপূর্বক গুমের প্রতিটি ঘটনা তদন্তের জন্য গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) একটি কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিশনে আরো রয়েছেন- অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, সাজ্জাদ হোসেন ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস।
কমিটিকে আগামী ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দে ।
০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। ৩২টি দেশ এটি অনুস্বাক্ষর করার পর ২০১০ সালে এ সনদের বাস্তবায়ন শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৭৫টি দেশ এ সনদে যুক্ত হয়েছে।
গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদের লক্ষ্য হলো- গুম বন্ধের পাশাপাশি এ অপরাধের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তা দেয়া।