Dhaka 8:43 am, Wednesday, 1 January 2025

জমি দখলকে কেন্দ্র করে বাউফলে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত- ৬

পটুয়াখালীর বাউফলে সরকারি খাস জমির দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুইপক্ষের দুই দফা সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২৮ডিসেম্বর) উপজেলা চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ফেডারেশন চর এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটে দুই দফা এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সংঘর্ষের ঘটনার চিত্র ধারণ করতে গেলে বিএনপির একাংশের কয়েকজন নেতা সাংবাদিকদের লাঞ্চিত করেছেন এবং পরবর্তীতে হামলাকারীদের না সরিয়ে উল্টো সাংবাদিকদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বাউফল থানার এসআই মাসুদ। সংঘর্ষে আহতরা হলেন- উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সরোয়ার হোসেন রিয়াজ কালাইয়া ইউয়নিয়ন ছাত্রদলের প্রস্তাবিত সভাপতি শাহরাজ হোসেন জয়, ছাত্রদল নেতা রেদওয়ান, ইয়াসিন ও রায়হাান এবং কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন তুহিন। এরমধ্যে নিরাপত্তাজনিত কারণে জসিম উদ্দিন তুহিনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং রিয়াজ, জয় ও রেদোয়ানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, চর ফেডারেশন এলাকায় সরকারি খাস জমির বরাদ্দ পান স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি। তাদের থেকে এক একর জমির লিজ নেয় ছাত্রদলের শাহরাজ হোসেন জয়। ওই খাস জমির পাশাপাশি ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি জসিম উদ্দিন তুহিনের ব্যক্তি মালিকানা কিছু জমি ছিলো। গতকাল শনিবার সকালে লিজ নেওয়া ওই জমির দখল নিতে যায় শাহরাজ হোসেন জয় ও তার সহযোগীরা। এসময় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন তুহিনের লোকজন বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় শাহরাজ হোসেন জয় ও সরোয়ার হোসেন রিয়াজসহ তাদের ৩ সহযোগী আহত হয়। পরে কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন তুহিন হাসপাতালের সামনে গেলে জয় ও রিয়াজের অনুসারীরা তার ওপরে অতর্কিত হামলা চালায়। তাকে উদ্ধারে সহযোগিতা করতে গেলে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করেন উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি ফয়সাল সহ কয়েকজন। এসময় পুলিশ জসিমকে উদ্ধার করে একটি দোকানের মধ্যে আটকে রাখেন এবং পরবর্তীতে তাকে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা নেওয়া হয়। এ বিষয়ে সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সরোয়ার হোসেন রিয়াজ বলেন, আমরা নিজেদের জমি চাষাবাদ করতে গেলে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন তুহিন ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদেরকে আহত করেছেন। কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন তুহিন বলেন, আমি কালাইয়া হাট বাজারের ইজারা নেয়ার পর থেকেই একটি পক্ষ আমাকে বিভিন্ন ভাবে হামলা করার চেষ্টা করে। আজ আমি ওষুধ কিনতে হাসপাতাল এলাকায় আসলে তারাই আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। জমি বিরোধ নিয়ে মারামারির বিষয় আমি জানি না, মুঠোফোনের মাধ্যমে শুনেছি। এ বিষয়ে বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একপক্ষের আহত তিনজনকে উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে নিয়েছে এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে অপরপক্ষের একজনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় সাংবাদিকদের সাথে পুলিশের এসআইর ভুল বুঝাবুঝির বিষয় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

Write Your Comment

About Author Information

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

জমি দখলকে কেন্দ্র করে বাউফলে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত- ৬

আপলোড সময় : 01:41:30 pm, Sunday, 29 December 2024

পটুয়াখালীর বাউফলে সরকারি খাস জমির দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুইপক্ষের দুই দফা সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২৮ডিসেম্বর) উপজেলা চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ফেডারেশন চর এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটে দুই দফা এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সংঘর্ষের ঘটনার চিত্র ধারণ করতে গেলে বিএনপির একাংশের কয়েকজন নেতা সাংবাদিকদের লাঞ্চিত করেছেন এবং পরবর্তীতে হামলাকারীদের না সরিয়ে উল্টো সাংবাদিকদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বাউফল থানার এসআই মাসুদ। সংঘর্ষে আহতরা হলেন- উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সরোয়ার হোসেন রিয়াজ কালাইয়া ইউয়নিয়ন ছাত্রদলের প্রস্তাবিত সভাপতি শাহরাজ হোসেন জয়, ছাত্রদল নেতা রেদওয়ান, ইয়াসিন ও রায়হাান এবং কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন তুহিন। এরমধ্যে নিরাপত্তাজনিত কারণে জসিম উদ্দিন তুহিনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং রিয়াজ, জয় ও রেদোয়ানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, চর ফেডারেশন এলাকায় সরকারি খাস জমির বরাদ্দ পান স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি। তাদের থেকে এক একর জমির লিজ নেয় ছাত্রদলের শাহরাজ হোসেন জয়। ওই খাস জমির পাশাপাশি ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি জসিম উদ্দিন তুহিনের ব্যক্তি মালিকানা কিছু জমি ছিলো। গতকাল শনিবার সকালে লিজ নেওয়া ওই জমির দখল নিতে যায় শাহরাজ হোসেন জয় ও তার সহযোগীরা। এসময় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন তুহিনের লোকজন বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় শাহরাজ হোসেন জয় ও সরোয়ার হোসেন রিয়াজসহ তাদের ৩ সহযোগী আহত হয়। পরে কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন তুহিন হাসপাতালের সামনে গেলে জয় ও রিয়াজের অনুসারীরা তার ওপরে অতর্কিত হামলা চালায়। তাকে উদ্ধারে সহযোগিতা করতে গেলে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করেন উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি ফয়সাল সহ কয়েকজন। এসময় পুলিশ জসিমকে উদ্ধার করে একটি দোকানের মধ্যে আটকে রাখেন এবং পরবর্তীতে তাকে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা নেওয়া হয়। এ বিষয়ে সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সরোয়ার হোসেন রিয়াজ বলেন, আমরা নিজেদের জমি চাষাবাদ করতে গেলে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন তুহিন ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদেরকে আহত করেছেন। কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন তুহিন বলেন, আমি কালাইয়া হাট বাজারের ইজারা নেয়ার পর থেকেই একটি পক্ষ আমাকে বিভিন্ন ভাবে হামলা করার চেষ্টা করে। আজ আমি ওষুধ কিনতে হাসপাতাল এলাকায় আসলে তারাই আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। জমি বিরোধ নিয়ে মারামারির বিষয় আমি জানি না, মুঠোফোনের মাধ্যমে শুনেছি। এ বিষয়ে বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একপক্ষের আহত তিনজনকে উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে নিয়েছে এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে অপরপক্ষের একজনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় সাংবাদিকদের সাথে পুলিশের এসআইর ভুল বুঝাবুঝির বিষয় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।