চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের দেড়কোটা এলাকায় মামাতো ভাইকে খুন করেছে ফুফাতো ভাই।
তদন্তে সূত্রে জানা যায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের দেড়কোটা এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আবুল কাশেমের মেজো ছেলে ছালেহ আহাম্মদকে তারই ফুফু মনোয়ারা বেগম (৬৫), ফুফাতো ভাই জামাল (৩৩), মুহিন (৩০) ও জামালের স্ত্রী শাহীনুর (২৮) মিলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে( ১৩ মে) সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাত ঘটিকায় একে অপরের যোগ সাজসে সালেহ আহাম্মদ কে তারই নিজ বাড়ির উঠানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যপরি আঘাত করলে ছালেহ আহাম্মদ (৩৫) ঘটনা স্থলেই নিহত হয়। তাতক্ষনিক জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে চৌদ্দগ্রাম থানা থেকে পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনা স্থলে গেলেও হত্যার মূল হোতারা জামাল, মহিন ও মহিনের (রোহিঙ্গা) স্ত্রী সন্ধ্যার অন্ধকারে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত মনোয়ারা বেগম (নিহতের ফুফু) ও জামালের স্ত্রী শাহীনুরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এই হত্যা কান্ডের বিষয়ে এলাকার জনগণের দাবি পালিয়ে যাওয়া হত্যাকারীদের তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।
মা নাসিমা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আমার চোখের সামনেই জামাল, মহিন, শাহিনুর ও মনোয়ারা আমার ছেলেকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।’
নিহতের ছোট বোন আছমা আক্তার জানান, ‘আমার ভাইকে তারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ত্রিনাথ সাহা বলেন, ‘সম্পত্তি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে মুন্সীরহাট ইউনিয়নের দেড়কোটায় হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হবে। মঙ্গলবার সকালে নিহতের পিতা বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। অপর দুই পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।’