কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ৩নং কালিকাপুর ইউনিয়নের (ছুপুয়া-দক্ষিণপাড়া) দুর্গাপুর গ্রামের ভাড়াটিয়া পারিবারিক কলহের জেরে লিপি আক্তার (৩৬) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে।
সে উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের মতিয়াতলী গ্রামের মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মোঃ আলমগীর হোসেন এর স্ত্রী ও কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার সরাপতি গ্রামের মোঃ সুন্দর আলীর মেয়ে। গতকাল( ৮জুন) রাত আনুমানিক ১২:০০টার সময় ৩ নং কালিকাপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার সোহাগের ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল কুদ্দুস সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে । নিহতের স্বামী আলমগীর এর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই আলী হোসেন। এই ঘটনায় নিহতের স্বামী আলমগীর কে আটক করা হয়েছে।
জানা গেছে, নিহত লিপি আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে ২১ বছর পূর্বে কুমিল্লার সদর থানার মুন্সেফ কোয়ার্টার এলাকার মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে মোঃ আবুল কালাম (৪০) এর সাথে বিয়ে হয়। এরই মধ্যে তাদের সংসারে ৩ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তান হয়। বিগত ১০/১১ মাস পূর্বে লিপি আক্তার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের মতিয়াতলী গ্রামের মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে আলমগীর হোসেন এর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে স্বামী-সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিক আলমগীরের হাত ধরে চৌদ্দগ্রামে চলে আসেন লিপি। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে প্রেমিক আলমগীরের সাথে দূর্গাপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় সংসার জীবন শুরু করেন। উভয়ে নতুন জীবন শুরু করলেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের সংসারে প্রায় সময়ই কলহ লেগে থাকতো বলে জানা গেছে। পারিবারিক কলহের জেরে শনিবার রাত আনুমানিক ১২:০০টার পরে লিপি তার স্বামীর সাথে অভিমান করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ভাড়া বাসার ভুতুরের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, ‘সংবাদ পেয়ে সুরতহাল শেষে নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আলমগীরকে আটক করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। নিহতের ভাই বাদী হয়ে তার স্বামী আলমগীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে থানায় মামলা দায়ের করলে শনিবার দুপুরে আটককৃত ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।