চামড়া বা চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে উৎসে কর কমানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ-সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে বলা হয়, চামড়া বা চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। যা অবিলম্বে কার্যকর হয়ে আগামী ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে। একই দিন গবেষণায় বিদেশি অনুদানে কর অব্যাহতি এবং অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ক্ষেত্রে কর ছাড়-সংক্রান্ত দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়।
দেশের দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানি খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১২২ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়। এই রপ্তানি আগের অর্থবছরের তুলনায় পৌনে ২ শতাংশ কম। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমেছে।
চামড়াজাত পণ্য নানামুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন জানিয়ে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে আগামী তিন বছরের জন্য চামড়াজাত পণ্য ও জুতা রপ্তানিতে উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দেয় চামড়া খাতের মালিকদের সংগঠন চামড়াজাত পণ্য ও জুতা উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতি (এলএফএমইএবি)। তারা বলেছিল, এই সুবিধা পেলে রপ্তানির পাশাপাশি কর্মসংস্থানও বাড়বে।
চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে সরকার ফিনিশড চামড়া রপ্তানিতে প্রণোদনা কমিয়ে ৭ শতাংশ করেছে। চামড়াজাত অন্যান্য পণ্য রপ্তানিতেও নগদ প্রণোদনা কমানো হয়। এ বাস্তবতায় উৎসে কর কমানোর সিদ্ধান্তে উদ্যোক্তারা কিছুটা স্বস্তি পাবেন বলে মনে করছেন খাত-সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে স্থানীয় গবেষকদের কার্যক্রম জোরদার করতে বিদেশি গবেষণা অনুদানকে কর অব্যাহতি দিয়ে পৃথক একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গবেষণা পরিচালনার উদ্দেশ্যে দেশের বাইরে থেকে পাওয়া কোনো অনুদানকে শর্তসাপেক্ষে এসব প্রতিষ্ঠানের মোট আয় পরিগণনা থেকে বাদ দেওয়া হলো। তবে এ জন্য সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে এনবিআর থেকে কর অব্যাহতির সমর্থনে অব্যাহতি সনদ নিতে হবে। এ প্রজ্ঞাপন আগামী ২০২৬-২৭ করবর্ষ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এ ছাড়া আরেক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলোর মিউচুয়াল ফান্ড ব্যবস্থাপনা ফি বাবদ অর্জিত আয়ের ওপর উদ্ভূত
কর কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই প্রজ্ঞাপনও আগামী ২০২৬-২৭ করবর্ষ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।