Dhaka 11:23 am, Sunday, 22 December 2024

গদখালীতে অসময়ে ফুলের দামে আগুন

জমে উঠেছে দেশের সর্ববৃহৎ পাইকারী ফুলের বাজার যশোরের গদখালী, দেশের ফুলের চাহিদার ৭০ থেকে ৮০ ভাগ ফুল সরবরাহ হয় এই গদখালী থেকে। ফুলের ভালো দাম পেয়ে খুশি ফুল চাষীরা। গত বছরের তুলনায় এ বছর ফুলের দাম অনেক বেশি।  প্রাকৃতিক দূর্যোগ আর বৃষ্টির কারণে ফুলের দাম বেশি বলে জানান গদখালী ফুল চাষী ও ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে তারা সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন। দাম বেশি হওয়ায় ফুলের চাহিদা কমে গেছে, বিশেষ করে এই সময়ে ফুলের দাম বেশি হওয়ায় দোকানদারেরা ফুলের অর্ডার দিচ্ছেন অনেক কম।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে ফুলের বিক্রি বাড়ার প্রত্যাশা থাকলেও বাস্তবে তা ঘটছে না। ফুলের দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারাও ফুল কিনছেন অনেক কম। বিশেষ করে আগে রাজনৈতিক নেতাদের জন্য ফুলের চাহিদা থাকলেও, এখন সেই চাহিদাও কমে গেছে।

আর দেড় মাস পরে বিজয় দিবস, সামনে শীত, বাগানে নতুন ফুল ফুটবে, আর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরলে ফুলের চাহিদা আরও বাড়বে। তখন ফুলের বাজারে আবার প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসব।

গদখালীর সৈয়দপাড়া, নীলকন্ঠ নগর, পটুয়াপাড়া, নিমতলা, হাড়িয়া, পানিসারা ও টাওরা গ্রামে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ফুলের চাষ হয়। মোহর আলী বলেন আমি দুই বিঘা জমিতে গোলাপ চাষ করেছি, দাম বেশি হলেও চাষের খরচের টাকা উঠবে না, কারন হিসেবে জানান অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ফুল পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। মিনারুল ইসলাম বলেন,  আম এ বছর এক বিঘা জমিতে গোলাপ চাষ করেছি দামে আমি অনেক খুশি। মিলন হোসেন বলেন বৃষ্টির কারণে আমার গোলাপ ফুল, গাধা ফুল প্রায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
গদখালী বাজার ঘুরে দেখা যায়,  প্রকারভেদে প্রতি পিছ গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৮ টাকা থেকে ১৪ টাকা পর্যন্ত,  প্রতি পিছ রজনীগন্ধা বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা থেকে ১৬ টাকা পর্যন্ত। এক হাজার গাধা ফুল বিক্রি হচ্ছে হচ্ছে ৩০০থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায় অতি মাত্রায় বৃষ্টি হওয়ার কারণে বেশিরভাগ ফুলের ডাল পঁচে গেছে।  তাদের আশা সামনে ফুলের দাম আরও বেশি হবে।
যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন গাছে ফুল না থাকলেও দামে চাষীরা খুশি। চাষীরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন খরচের টাকা তোলার জন্য
উল্লেখ্য যশোরের গদখালী এলাকায় প্রায় ১২০০ হেক্টর জমিতে প্রায় এগারো রকমের ফুলের চাষ হয়। এ এলাকার ৬ হাজার পরিবারের প্রায় দেড় লাখ মানুষ ফুল চাষের সাথে জড়িত। প্রতি বছর তিনশো কোটি টাকার বেশি ফুল উৎপাদন হয় এই অঞ্চলে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

গদখালীতে অসময়ে ফুলের দামে আগুন

আপলোড সময় : 04:26:27 pm, Tuesday, 8 October 2024
জমে উঠেছে দেশের সর্ববৃহৎ পাইকারী ফুলের বাজার যশোরের গদখালী, দেশের ফুলের চাহিদার ৭০ থেকে ৮০ ভাগ ফুল সরবরাহ হয় এই গদখালী থেকে। ফুলের ভালো দাম পেয়ে খুশি ফুল চাষীরা। গত বছরের তুলনায় এ বছর ফুলের দাম অনেক বেশি।  প্রাকৃতিক দূর্যোগ আর বৃষ্টির কারণে ফুলের দাম বেশি বলে জানান গদখালী ফুল চাষী ও ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে তারা সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন। দাম বেশি হওয়ায় ফুলের চাহিদা কমে গেছে, বিশেষ করে এই সময়ে ফুলের দাম বেশি হওয়ায় দোকানদারেরা ফুলের অর্ডার দিচ্ছেন অনেক কম।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে ফুলের বিক্রি বাড়ার প্রত্যাশা থাকলেও বাস্তবে তা ঘটছে না। ফুলের দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারাও ফুল কিনছেন অনেক কম। বিশেষ করে আগে রাজনৈতিক নেতাদের জন্য ফুলের চাহিদা থাকলেও, এখন সেই চাহিদাও কমে গেছে।

আর দেড় মাস পরে বিজয় দিবস, সামনে শীত, বাগানে নতুন ফুল ফুটবে, আর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরলে ফুলের চাহিদা আরও বাড়বে। তখন ফুলের বাজারে আবার প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসব।

গদখালীর সৈয়দপাড়া, নীলকন্ঠ নগর, পটুয়াপাড়া, নিমতলা, হাড়িয়া, পানিসারা ও টাওরা গ্রামে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ফুলের চাষ হয়। মোহর আলী বলেন আমি দুই বিঘা জমিতে গোলাপ চাষ করেছি, দাম বেশি হলেও চাষের খরচের টাকা উঠবে না, কারন হিসেবে জানান অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ফুল পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। মিনারুল ইসলাম বলেন,  আম এ বছর এক বিঘা জমিতে গোলাপ চাষ করেছি দামে আমি অনেক খুশি। মিলন হোসেন বলেন বৃষ্টির কারণে আমার গোলাপ ফুল, গাধা ফুল প্রায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
গদখালী বাজার ঘুরে দেখা যায়,  প্রকারভেদে প্রতি পিছ গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৮ টাকা থেকে ১৪ টাকা পর্যন্ত,  প্রতি পিছ রজনীগন্ধা বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা থেকে ১৬ টাকা পর্যন্ত। এক হাজার গাধা ফুল বিক্রি হচ্ছে হচ্ছে ৩০০থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায় অতি মাত্রায় বৃষ্টি হওয়ার কারণে বেশিরভাগ ফুলের ডাল পঁচে গেছে।  তাদের আশা সামনে ফুলের দাম আরও বেশি হবে।
যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন গাছে ফুল না থাকলেও দামে চাষীরা খুশি। চাষীরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন খরচের টাকা তোলার জন্য
উল্লেখ্য যশোরের গদখালী এলাকায় প্রায় ১২০০ হেক্টর জমিতে প্রায় এগারো রকমের ফুলের চাষ হয়। এ এলাকার ৬ হাজার পরিবারের প্রায় দেড় লাখ মানুষ ফুল চাষের সাথে জড়িত। প্রতি বছর তিনশো কোটি টাকার বেশি ফুল উৎপাদন হয় এই অঞ্চলে।