Dhaka 6:08 pm, Sunday, 22 December 2024

গজারিয়ায় অবৈধ সিসা তৈরির কারখানা ; হুমকির মুখে প্রাকৃতিক পরিবেশ জীব ও বৈচিত্র

মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার (মেঘনা সেতুর পূর্ব পাশ্বে) বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বড় রায়পাড়া এলাকায় নদী সংলগ্ন স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগ নেতা সুমনের ভাই নাজিম ১ টি অবৈধ পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে সীসা তৈরির কারখানা চালাচ্ছে।
হুমকির মুখে প্রকৃতিক পরিবেশ জীব ও বৈচিত্র।

কারখানার দুষিত কালো ধোঁয়ায় এলাকাবাসীর জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ২৬ থেকে ২৮ বছরের ২০/২৫ জন শ্রমিক কেউ ব্যাটারি থেকে প্লেট বের করছে, কেউ রাতে আগুন জ্বালিয়ে সিসা তৈরি করার জন্য চুলার পাশে প্লেট সাজাচ্ছে।

এই কারখানাটির মালিক ুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার বালিয়্দির ম লীগ নেতা সুমনের ভাই মোঃ নাজিম উদ্দীন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান প্রতিদিন রাত ৮:০০ হইতে ভোর ০৫:০০ ঘটিকা পর্যন্ত ব্যাটারীর প্লেট জ্বালিয়ে সিসা তৈরী করে তখন আগুনের শিখা ৪০/৫০ ফুট উপরে ওঠে।

এ ব্যাপারে এলাকার স্থানীয় জনৈক মোঃ আমজাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সরোয়ার জাহান ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১০/১৫ জন লোক বলেন প্রতিদিন রাত্রি ৮:০০ ঘটিকা হইতে ভোর ০৫:০০ ঘটিকা পর্যন্ত যখন চুল্লিতে কাঠ কয়লার আগুনে পুরাতন ব্যাটারি প্লেট জ্বালিয়ে সিসা তৈরি করে ,তখন আশেপাশের এলাকায় বাড়ির ভিতরে থাকা কষ্টসাধ্য হয় নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়।

এই কারখানার ধোঁয়ার ফলে আশেপাশে দুই তিন কিলোমিটার এলাকায় বাড়ির ভিতরে থাকা লোকজনের নাক মুখ চোখ জ্বালা করে ,এলাকার শিশু ও বৃদ্ধরা শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছে।

কিন্তু এদের বিরুদ্ধে কেউ কখনো কোনো ব্যবস্থা নেয় না যারা আসে টাকা খেয়ে মনের সুখে গান গাইতে গাইতে চলে যায় ,আমরা এদের কাছে অসহায় কখনো জোর করে কাউকে কিছু বলতে পারি না প্রাণভয়ে কারণ এদের অনেক মাস্তান ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী আছে।
যারা বিভিন্ন ভয় দেখায়,আমরা সাধারণ মানুষ সবসময় এদের কাছে জিম্মি ও অসহায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান নাজিমের ভাই আওয়ামী লীগ নেতা সুমন বিগত দিনে কারখানার বিরুদ্ধে কথা বলায় বিভিন্ন লোককে মারপিট করে ও মিথ্যা মামলা দিয়েছে।

কারখানাটির মালিক নাজিম ও তার আপন ভাই সুমন আওয়ামী লীগের নেতা তাদের ছত্রছায়ায় চলার কারনে বিভিন্ন মামলা হামলার ভয়ে কেউ মুখ খুলে কিছু বলার সাহস পায়নি বর্তমানে শুধু নেতৃত্বের হাত বদল হলেও, সুমন নাজিমদের দৌরাত্ম বন্ধ হয়নি।

এলাকাবাসী জানান কারখানাটির দুষিত ধোঁয়া ও এসিড পানির জন্য আশেপাশের মাঠের ফসল গাছের ফল নদীর মাছের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে,কয়েকজনের গরু মারা গেছে।

এলাকাবাসী আরও জানান এই কারখানার আশপাশের জমি ও মাঠের ঘাস কেটে গবাদিপশুকেও খাওয়াে পার পুর মৃত্যুর ভয়ে।
তারা আরও বলেন এই কারখানার আশেপাশের মাঠের ঘাস খেলেই গরু মারা যাবে এই ধোঁয়া ও ছাই বাতাসে উড়িয়ে যতোদূর গিয়ে পড়বে সেই এলাকার ঘাস খেলেই গরু মারা যাবে নিশ্চিত।

কারখানার শ্রমিকদের গণমাধ্যম কর্মীরা জিগ্যেস করলে আপনারা এই কারখানায় কাজ করেন কিভাবে এরতো প্রচুর গন্ধ,আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আপনাদের কিছু বলেনা?

শ্রমিকরা বলেন এতে আমাদের শরীরের প্রচুর ক্ষতি হয়,থানা পুলিশ তেমন কিছু বলেনা কিন্তু উপজেলা প্রশাসন বা এসিল্যান্ড, পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজনকে কেউ জানালে তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়।

কারখানার মালিক ১।মোঃনাজিম উদ্দিন এর নিকট এই কারখানার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছেকিনা জানতে চাইলে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমাদের কোনো কাগজপত্র নেই সবাইকে ম্যানেজ করেই কারখানা চালাতে হয়।

আপনারা নিউজ করলে করেন সমস্যা নাই আমরা সবাইকে ম্যানেজ করেই চলি,নিউজ করলে পরিবেশ অধিদপ্তরের লোক, এসিল্যান্ড এনারাইতো আসবে দেখা যাবে নিউজ করে কি করতে পারেন।

এলাকার সচেতন মহল অতি দ্রুত পুরাতন ব্যাটারি আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরির কারখানাটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে উচ্ছেদ করার জন্য এলাকাবাসী মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, গজারিয়া উপজেলা প্রশাসন, মুন্সিগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

গজারিয়ায় অবৈধ সিসা তৈরির কারখানা ; হুমকির মুখে প্রাকৃতিক পরিবেশ জীব ও বৈচিত্র

আপলোড সময় : 06:59:29 pm, Wednesday, 11 September 2024

মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার (মেঘনা সেতুর পূর্ব পাশ্বে) বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বড় রায়পাড়া এলাকায় নদী সংলগ্ন স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগ নেতা সুমনের ভাই নাজিম ১ টি অবৈধ পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে সীসা তৈরির কারখানা চালাচ্ছে।
হুমকির মুখে প্রকৃতিক পরিবেশ জীব ও বৈচিত্র।

কারখানার দুষিত কালো ধোঁয়ায় এলাকাবাসীর জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ২৬ থেকে ২৮ বছরের ২০/২৫ জন শ্রমিক কেউ ব্যাটারি থেকে প্লেট বের করছে, কেউ রাতে আগুন জ্বালিয়ে সিসা তৈরি করার জন্য চুলার পাশে প্লেট সাজাচ্ছে।

এই কারখানাটির মালিক ুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার বালিয়্দির ম লীগ নেতা সুমনের ভাই মোঃ নাজিম উদ্দীন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান প্রতিদিন রাত ৮:০০ হইতে ভোর ০৫:০০ ঘটিকা পর্যন্ত ব্যাটারীর প্লেট জ্বালিয়ে সিসা তৈরী করে তখন আগুনের শিখা ৪০/৫০ ফুট উপরে ওঠে।

এ ব্যাপারে এলাকার স্থানীয় জনৈক মোঃ আমজাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সরোয়ার জাহান ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১০/১৫ জন লোক বলেন প্রতিদিন রাত্রি ৮:০০ ঘটিকা হইতে ভোর ০৫:০০ ঘটিকা পর্যন্ত যখন চুল্লিতে কাঠ কয়লার আগুনে পুরাতন ব্যাটারি প্লেট জ্বালিয়ে সিসা তৈরি করে ,তখন আশেপাশের এলাকায় বাড়ির ভিতরে থাকা কষ্টসাধ্য হয় নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়।

এই কারখানার ধোঁয়ার ফলে আশেপাশে দুই তিন কিলোমিটার এলাকায় বাড়ির ভিতরে থাকা লোকজনের নাক মুখ চোখ জ্বালা করে ,এলাকার শিশু ও বৃদ্ধরা শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছে।

কিন্তু এদের বিরুদ্ধে কেউ কখনো কোনো ব্যবস্থা নেয় না যারা আসে টাকা খেয়ে মনের সুখে গান গাইতে গাইতে চলে যায় ,আমরা এদের কাছে অসহায় কখনো জোর করে কাউকে কিছু বলতে পারি না প্রাণভয়ে কারণ এদের অনেক মাস্তান ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী আছে।
যারা বিভিন্ন ভয় দেখায়,আমরা সাধারণ মানুষ সবসময় এদের কাছে জিম্মি ও অসহায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান নাজিমের ভাই আওয়ামী লীগ নেতা সুমন বিগত দিনে কারখানার বিরুদ্ধে কথা বলায় বিভিন্ন লোককে মারপিট করে ও মিথ্যা মামলা দিয়েছে।

কারখানাটির মালিক নাজিম ও তার আপন ভাই সুমন আওয়ামী লীগের নেতা তাদের ছত্রছায়ায় চলার কারনে বিভিন্ন মামলা হামলার ভয়ে কেউ মুখ খুলে কিছু বলার সাহস পায়নি বর্তমানে শুধু নেতৃত্বের হাত বদল হলেও, সুমন নাজিমদের দৌরাত্ম বন্ধ হয়নি।

এলাকাবাসী জানান কারখানাটির দুষিত ধোঁয়া ও এসিড পানির জন্য আশেপাশের মাঠের ফসল গাছের ফল নদীর মাছের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে,কয়েকজনের গরু মারা গেছে।

এলাকাবাসী আরও জানান এই কারখানার আশপাশের জমি ও মাঠের ঘাস কেটে গবাদিপশুকেও খাওয়াে পার পুর মৃত্যুর ভয়ে।
তারা আরও বলেন এই কারখানার আশেপাশের মাঠের ঘাস খেলেই গরু মারা যাবে এই ধোঁয়া ও ছাই বাতাসে উড়িয়ে যতোদূর গিয়ে পড়বে সেই এলাকার ঘাস খেলেই গরু মারা যাবে নিশ্চিত।

কারখানার শ্রমিকদের গণমাধ্যম কর্মীরা জিগ্যেস করলে আপনারা এই কারখানায় কাজ করেন কিভাবে এরতো প্রচুর গন্ধ,আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আপনাদের কিছু বলেনা?

শ্রমিকরা বলেন এতে আমাদের শরীরের প্রচুর ক্ষতি হয়,থানা পুলিশ তেমন কিছু বলেনা কিন্তু উপজেলা প্রশাসন বা এসিল্যান্ড, পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজনকে কেউ জানালে তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়।

কারখানার মালিক ১।মোঃনাজিম উদ্দিন এর নিকট এই কারখানার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছেকিনা জানতে চাইলে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমাদের কোনো কাগজপত্র নেই সবাইকে ম্যানেজ করেই কারখানা চালাতে হয়।

আপনারা নিউজ করলে করেন সমস্যা নাই আমরা সবাইকে ম্যানেজ করেই চলি,নিউজ করলে পরিবেশ অধিদপ্তরের লোক, এসিল্যান্ড এনারাইতো আসবে দেখা যাবে নিউজ করে কি করতে পারেন।

এলাকার সচেতন মহল অতি দ্রুত পুরাতন ব্যাটারি আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরির কারখানাটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে উচ্ছেদ করার জন্য এলাকাবাসী মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, গজারিয়া উপজেলা প্রশাসন, মুন্সিগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সুদৃষ্টি কামনা করেন।